Main Menu

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জবি ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

Manual6 Ad Code

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন।

Manual3 Ad Code

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কাকরাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।

Manual7 Ad Code

অধ্যাপক ড. রইসউদ্দিন বলেন, আমরা এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অধিকার নিয়ে এসেছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। আমাদের ওপরে নির্বিচারে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা এবং অন্যায়। আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি, কোনো ষড়যন্ত্র করতে আসেনি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘শাটডাউন’ চলবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে না, দাবি আদায় করে আমরা ঘরে ফিরবো।

Manual5 Ad Code

তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় ভালো হবে না। আমার চোখের সামনে আমার কোনো শিক্ষার্থীকে কেউ আঘাত করতে পারবে না।

এ সময় শিক্ষার্থীরা—“আবাসন চাই, বঞ্চনা নয়”, “বাজেট কাটছাঁট চলবে না”, “হামলার বিচার চাই” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

Manual2 Ad Code

প্রায় ২৪ ঘণ্টা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে অবস্থান করছেন। অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লান্ত হলেও আন্দোলন থেকে সরেননি কেউ। কেউ কেউ রাতভর রাস্তায় ঘুমিয়ে আজ সকালেও অবস্থান করছেন।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো—বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও বাস্তবায়ন, ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

বুধবার (১৫ মে) বেলা ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেন জবির শিক্ষার্থীরা। লংমার্চটি গুলিস্তান হয়ে মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে গরম পানি ছোড়া হয়। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

পরে রাতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। সেসময় তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন। কিন্তু তার ব্রিফিংয়ে অসন্তুষ্ট হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেওয়া হতে থাকে। বক্তৃতার এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে বোতল ছুড়ে মারা হয়। উপদেষ্টা ব্রিফিং বন্ধ করে চলে যান।

এদিকে উপদেষ্টা মাহফুজের বক্তব্যে অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নেন।

Share





Related News

Comments are Closed

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code