আখেরি মোনাজাতে শেষ হয়েছে সিলেট জেলা ইজতেমা

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সিলেট জেলার তিনদিন ব্যাপী ইজতেমা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় শুরু হয় মোনাজাত। ১৫ মিনিট ব্যাপী স্থায়ী ওই মোনাজাতে লাখো মুসুল্লির কান্নার রব উঠে। আল্লাহ হুমা আমিন ধ্বনিতে পুরো ইজতেমা মাঠ প্রকম্পিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সৈয়দ ওয়াসিফ।
মোনাজাতে বিশ্বের মুসলমানদের হেফাজত ও শান্তি কামনা করা হয়। শান্তি কামনা করা হয়েছে দেশের মানুষের। ইসলাম ধর্মের আক্কিদা মেনে চলার তওফিক দেয়ার জন্যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। মুসলমান জাতিকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্যে আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়। সমস্ত কবরবাসীর জান্নাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করা হয়।
মোনাজাতের আগে বয়ানে ইসলাম ধর্মের দ্বীন যথাযথ পালনের জন্যে মুসলিম জাতির প্রতি আহবান জানানো হয়। সময় মত ধর্মীয় বিধান মেনে চলাই পরকালে নাজাত পাওয়ার একমাত্র পথ বলে উল্লেখ করা হয়। সকল অন্যায় ও অবিচার থেকে নিজেদেরকে বাচিঁয়ে রাখার আহবান করা হয়। আমাদের প্রিয় নবীর (স.) পথ অনুসরণ করার জন্যে ইসলাম ধর্মের প্রতিটি মানুষের প্রতি অনুরোধ করা হয়।
এরআগে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পরপরই আম বয়ানের মধ্য দিয়ে সিলেট জেলার তিনদিন ব্যাপী ইজতেমা শুরু হয় শহরতলির খাদিমপাড়া ইউনিয়নের কল্লগ্রামে। লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসুল্লী ইজতেমার মাঠে ফজরের নামাজ আদায় করে আম বয়ানে অংশ গ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন ইজতেমা মাঠে ১৫টি জামাত বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে কাজ করেছেন গত তিনদিন ধরে। এসব জামাত হচ্ছে বিদ্যুত জামাত, পানির জামাত, মাইকের জামাত, টয়লেটের জামাত, এস্তেকবালি জামাত, পাহাড়াদারি জামাত, মাসলাহালের জামাত, তাশকিলের জামাত, মিম্বরের জামাত, মুকব্বিরের জামাত, জুরনেয়ালী জামাত, মাঠের জামাত, নামাজের কাতের কাটার জামাত, পুকুরের ঘাট বাধার জামাত ও এত্তেসালের জামাত।
এই ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন মক্কা-মদীনার জামাত। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জামাতও অংশ নিয়েছেন এই ইজতেমায়। মক্কা-মদীনা ও বিদেশি মেহমানরা ইজতেমার মাঠে সংরক্ষিত এলাকায় ছিলেন।
ইজেতমার ঘোষণা আসার পর এক মাস ধরে এই ইজতেমার মাঠ তৈরিতে সংশ্লিষ্ট প্রায় ১২০০ স্বেচ্ছাসেবী অবিরাম কাজ করেছেন। সিলেট জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ওইসব স্বেচ্ছাসেবী অংশ গ্রহণ করেছেন মাঠ তৈরিতে। মাঠ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে গত বুধবারে।
ইজতেমা শুরুর প্রস্তুতি নেয়ার পর থেকে স্থানীয় বংশিধর গ্রামের গিয়াস কবিরাজ সার্বক্ষণিক অবস্থান করেন মাঠে। মাঠের মুসুল্লিদের সাথে নানান কাজে অংশ নিয়েছেন তিনি। গিয়াস কবিরাজ জানান, ইজতেমার মাঠে আল্লাহর নেয়ামত শান্তি বিরাজ করেছে সব সময়। এখানে এলে আর ঘরে ফিরে যেতে মন চাইতো না। তাই পুরোটা সময় ইজতেমার মাঠে ব্যয় করার চেষ্টা করেছি। তিনি জানান তিনদিনব্যাপী ইজতেমার কারণে ওই এলাকায় ইসলাম ধর্মের শান্তি ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে। স্থানীয়রা উপকৃত হয়েছেন ইজতেমার বয়ানে।
Related News

সিলেটের ৬ উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিতরণ
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১৩ উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণেরRead More

সিলেটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, ৭ দিনে আক্রান্ত সাড়ে ৫শ’
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সাথে সিলেট জুড়ে নতুন বিপদ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনRead More
Comments are Closed