Main Menu

কানাইঘাটে গৃবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সাউদগ্রামে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বামী হবিব আহমদকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হবিব আহমদ মুলাগুল বাজারে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিনকে জানায়- তার স্ত্রী মজনুফা আক্তার আত্মহত্যা করেছে।

এদিকে, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে একই গ্রামের হাজী রইছ উদ্দিনের পুত্র হারুন রশিদসহ পরিবারের লোকজন মজনুফা আক্তারকে তার স্বামী হবিব আহমদ গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করে মুলাগুল বাজারে তাকে (স্বামী) আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেন।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হবিব আহমদকে আটকের পাশাপাশি নিহতের লাশ হবিব আহমদের বসত ঘরের রান্না ঘরের বর্গার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

হবিব আহমদ কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সাউদগ্রামের মৃত মছদ আলীর পুত্র।

ময়না তদন্তের জন্য শনিবার (৫ ডিসেম্বর) মজনুফার লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

কানাইঘাট থানার এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, নিহতের বাবার বাড়ির লোকদের দাবির ভিত্তিতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী হবিব আহমদকে গ্রেফতার পরবর্তী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই হারুন রশিদ এ মামলার বাদি হয়েছেন। হবিব ও মজনুফার আড়াই বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

মজনুফার পরিবারের দাবি- স্বামী হবিব আহমদ তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। প্রায় সময়ই সে তাকে নির্যাতন করতো।

অপরদিকে, হবিব আহমদের পরিবারের দাবি- মজনুফা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। সে যখন আত্মহত্যা করে তখন বসত ঘরের কক্ষের দরজায় ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।

Share





Related News

Comments are Closed