সিলেটে চার মাসে ধর্ষণের শিকার ৭৬ নারী-শিশু
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটে ধর্ষণ যেন মহামারির রূপ ধারণ করেছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকায় ৭৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জেলা পুলিশের আওতাধীন ১৩টি থানায় ৫০টি এবং মহানগর পুলিশের আওতাধীন ৬টি থানায় ২৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
সিলেট জেলা পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম মাস তথা জানুয়ারিতে ৪ জন নারী ও ৬ শিশু ধর্ষিত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৪টি। এর মধ্যে ধর্ষিতার তালিকায় রয়েছে ৭ শিশু। এ বছর এখন পর্যন্ত সিলেট জেলায় সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মার্চ মাসে। এ মাসে ৯ জন নারী আর ১০ শিশু লাম্পট্যের কবলে পড়েন।
করোনার কারণে সিলেটসহ সারা দেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। ১১ এপ্রিল থেকে সিলেট রয়েছে লকডাউনের মধ্যে। এ সময়ে মাঠপর্যায়ে ব্যাপক তৎপর পুলিশ। ফলে ধর্ষণকাণ্ড কিছুটা কমেছে। এপ্রিলে সিলেট জেলায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে ৪ শিশুও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ‘এ বছরে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সিলেট জেলায় ৫০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নারী ২৩ জন ছাড়াও রয়েছে ২৭ শিশু। পুলিশ প্রত্যেকটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন মাঠপর্যায়ে পুলিশের তৎপরতার কারণে ধর্ষণের ঘটনা কমে আসছে।’
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এসএমপির ৬টি থানা এলাকায় ২৬টি ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে ২১টি ধর্ষণের ঘটনাই জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটেছে। এরপর এ ধরনের ঘটনা কমে আসে। মার্চে ৪টি ও এপ্রিলে ১টি ধর্ষণের ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে পুলিশের খাতায়।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, ‘যতোগুলো ঘটনা ঘটে, পুলিশ প্রত্যেকটি ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মামলা হয়েছে, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
এদিকে গত ২ মে সর্বশেষ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী শিল্পী (ছদ্ননাম)। তার বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামটিলায়। আর একই গ্রামের বাসিন্দা কয়েছ আহমদ ও সুমি বেগম। শিল্পীর দুঃসম্পর্কের খালা সুমি। একই গ্রামের বাসিন্দা, আবার সম্পর্কে খালা—তাই সরল বিশ্বাসে তাদের বাড়িতে ইফতারে গিয়েছেলেন শিল্পী।
ইফতার করতে যাওয়া শিল্পীর সাথে ঘটে ভয়ানক অমানবিকতা। ইফতার শেষে চায়ের সাথে চেতনাশক মিশিয়ে কৌশলে পান করানো হয় শিল্পীকে। সুমির সহযোগিতায় অচেতন শিল্পীকে ধর্ষণ করেন কয়েছ। পরে শিল্পীর অভিযোগের ভিত্তিতে সুমি ও কয়েছকে গ্রেফতার করে র্যাব।
Related News

ফেঞ্চুগঞ্জের শ্রেষ্ঠ অদম্য নারীর সাফল্য অর্জনের জীবন গল্প
বিশেষ সংবাদদাতা: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পর্যায়ে সাফল্য অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ ২ জন অদম্য নারীকে সম্মাননা প্রদানRead More

সিলেট জেলার শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতার সাফল্য অর্জনের গল্প
বিশেষ সংবাদদাতা: সিলেট জেলার ৫ ক্যাটাগরীতে সাফল্য অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করাRead More
Comments are Closed