Main Menu

শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

শাবি প্রতিনিধি : সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি ছাড়া বছরের ৩৬৫ দিনই খোলা থাকবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি আবাসিক হল। একই সাথে ছাত্রীরা রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত হলের বাইরে অবস্থান করতেও পারবেন।

রোববার (৮ ডিসেম্র) দুপুরে শাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সামনে লিখিত বক্তব্য দেন। বক্তব্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৬টি দাবির অধিকাংশই প্রশাসন মেনে নেওয়ায় আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

পরে আন্দোলন স্থগিত করে ক্যাম্পাসে বিজয় ও আনন্দ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। লিখিত বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবিকে আমলে নিয়ে প্রশাসন বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তন্মেধ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি বাদে বছরে ৩৬৫ দিনই হল খোলা রাখা, সমাবর্তনে ৫-৮ জানুয়ারি হল বন্ধ না রেখে শুধুমাত্র ৮ তারিখ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হল বন্ধ রাখার বিষয়ে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার সাথে কথা বলা, ছাত্রীদের হলে প্রবেশের সময়সীমা রাত ১০.১৫টা করা, রোড পেইন্টিং থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়া|

লাইব্রেরি রাত দশটা পর্যন্ত খোলা রাখা এবং রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা, ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান বাড়িয়ে দাম কমানো, টংগুলোতে যে কোন স্বাস্থ্যকর খাবারের অনুমতি দেওয়া এবং চাহিদা থাকা সময় পর্যন্ত টং খোলা রাখা, আইআইসিটি ও পরিসংখ্যান বিভাগের কক্ষ বরাদ্দের ক্ষেত্রে অর্থ না নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা প্রভৃতি।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের আরো বেশকিছু দাবিও মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন প্রশাসন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দেয়া ১০টি দীর্ঘমেয়াদি দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসন কাজ করবে বলে জানান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম।

এর আগে রোববার সকাল দশটা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনায় বসেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এর পর দুপুর দেড়টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সামনে প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলোর লিখিত বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার তার সাথে ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে শীতকালীন ছুটিতে আবাসিক হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলে ২০ নভেম্বর থেকে হল খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনুমতি নেয়নি এমন অযুহাতে ২০ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে বাধা দেন প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ। এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে প্রক্টরিয়াল বডির বাকবিতন্ডা হয় এবং মানববন্ধনে বাধা দেওয়ায় আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে উঠে।

পরবর্তীতে ১৬টি দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ৬টি আশু দাবি ৪ ডিসেম্বর মেনে নেওয়ার সময় বেধে দেওয়া হয়। মানববন্ধন, মশাল ও বিক্ষোভ মিছিল, সম্মিলিত গান এবং অর্বাচীন নামে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন তারা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হলে দাবি না মানলে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন এবং লাগাতার অবরোধের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রশাসনের কয়েকদফা বৈঠক শেষে রোববার দাবিগুলো মেনে নেয় প্রশাসন।

Share





Related News

Comments are Closed