Main Menu

ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তার বেহাল দশা

আব্দুল আউয়াল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে অধিকাংশ সড়কেরই কার্পেটিং উঠে গেছে। আর এতে তৈরি হয়েছে নানা ছোট বড় গর্তের। সামান্য বৃষ্টির কারনে গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। একারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পাড়া-মহল্লার বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সংস্কারের অভাবে শহরের বসিরপাড়া, সরকারপাড়া, পূর্ব গোয়ালপাড়া, মুন্সিপাড়া, আশ্রমপাড়া ও হঠাৎপাড়ার রাস্তাগুলোতে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের। পাথর ও ইটের খোয়া বেরিয়ে এসেছে। ঝাঁকি খেতে খেতে আগাচ্ছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ নানা যানবাহন। খানাখন্দে জমে থাকা কাদা পানি ছিটকে নোংরা হচ্ছে পথচারীদের পোশাক।

সিরাজ-উদ-দৌল­া সড়কের বসিরপাড়া, সরকারপাড়া ও পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকায় চারটি বেসরকারি ক্লিনিক রয়েছে। ওই এলাকার রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙা। ফলে এলাকাবাসীসহ ক্লিনিকগুলোতে আসা রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বসিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা সলেমান আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকার রাস্তাটি কয়েক বছর ধরেই ভাঙা। রাস্তাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অথচ এটি চলাচলের অনুপযোগী।’

Thak pic-2এ ছাড়া মুন্সিপাড়ার রাস্তার কার্পেটিং উঠে তৈরি হয়েছে গর্ত। দুই পাশ ভেঙে সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলও হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। সামান্য বৃষ্টিতেই নরেশ চৌহান সড়কের হলপাড়ার সংযোগ রাস্তা দুটোতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে নর্দমার ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় চলে আসে। মহল­াবাসীকে নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। আশ্রমপাড়ার বঙ্গবন্ধু সড়কের সংযোগ রাস্তাগুলোর দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে।

মুন্সিপাড়া রিকশাচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, চার দিন আগে তিনি অসুস্থ এক নারীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। অসাবধানতাবশত হঠাৎ গর্তে একটি চাকা পড়ে রিকশাটি উল্টে যায়। এতে ওই রোগী এবং তিনি দুজনই আহত হন।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, ‘রাস্তাগুলো সংস্কারের প্রয়োজন থাকলেও বর্ষা শেষ হওয়ার আগে রাস্তাগুলোতে সংস্কারকাজ শুরু করা যাবে না। বৃষ্টির মৌসুম শেষ হওয়া মাত্রই সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।’

Share





Related News

Comments are Closed