Main Menu

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব: সিলেটে প্রধান বিচারপতি

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীন ভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০ টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে তিনি এবস বলেন।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিত ভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রবাসে অবস্থানরতদের উদ্দেশ্যে তিনি নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতার আন্দোলনসহ দেশের সকল ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে আহবান জানান।

এসময় তিনি সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ‘সিলেটী নাগরি লিপি’ রক্ষার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে আহবান জানান। সিলেটের হাওর-পাহাড় বাচিঁয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সভাপতি ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ এডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত একিউএম নাসির উদ্দিন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিত সিংহ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অসিম পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট রুহুল আনাম মিন্টু। সিলেট জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের ডিজিএফআই শাহ আলম, এনএসআই প্রধান, অ্যাডিশনাল ডিআইজি, অ্যাডিশনাল কমিশনার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল।

এছাড়াও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন শাখা প্রধান, কাউন্সিলরবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

রুহেনা সুলতানা ও রজত কান্তি গুপ্তের যৌথ ভাবে পরিচালনায় অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন সিসিক জামে মসজিদের পেশ খতিব ও ইমাম হাফিজ মোহাম্মদ আলী, গীতা থেকে পাঠ করেন কর শাখার কর্মকর্তা জ্যোতিষ চক্রবর্তী।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের সম্মানে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সংক্ষিপ্ত পরিচিত ও বদলে যাওয়া সিলেটের গল্প নিয়ে ছোট্ট প্রতিবেদন পরিবেশন করা হয়।

সান্তনা দেবীর পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করেন একাডেমি ফর মণিপুরী কালচার এন্ড আর্টস। অতিথিদের সম্মানে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অনিমা রায়। অন্যান্যের মধ্যে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রানা কুমার সিনহা, রাধারমনের গান পরিবেশন করেন শিল্পী লাভলী লস্কর, বাউল শাহ আব্দুল করিমের গান পরিবেশন করেন শিল্পী পল্লবী দাস মৌ, হাসন রাজার গান পরিবেশন করেন শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস।

Share





Related News

Comments are Closed