Main Menu

সিলেটে জালিয়াতি, বাবলু ও শাহাজের ৫ বছরের কারাদণ্ড

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে জাল দলিলে ভুমি আত্মসাতের ঘটনায় ভুমি জালিয়াত চক্রের হোতা বাবলু বখত ও শাহাজ উদ্দিনকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। মামলার রায়ে উভয়কে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষনা করেন সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খাইরুল আমীন। তবে আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষনাকালে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন না।

মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন জাফলং মামার দোকানের বাসিন্দা মৃত গনি বখতের ছেলে বাবলু বখত ও জাফলং আলী নগর গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে শাহাজ উদ্দিন।

মামলার বিবরনে জানা যায়; বিশ্বনাথ উপজেলার মৃত অবনি কান্ত দাশের নামে সৃজন করা একটি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ২০১২ সালের ৮ই অক্টোবর জাফলংয়ের সোনাটিলার হাজী সোনা মিয়ার ১৬৫ শতক ভুমি ক্রয়ের আরেকটি দলিল সৃজন করেন বাবলু বখত ও শাহাজ উদ্দিন। পরবর্তীতে রেকর্ড থেকে হাজী সোনা মিয়ার মৌরসী সম্পত্তি মুছে দিতে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের বালাম বইয়েরও পাতা পরিবর্তন করা হয়। এরপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে হাজী সোনা মিয়ার সম্পত্তি দখলে নামে বাবলু ও তার সহযোগিরা।

এ ঘটনায় গত ২০১৩ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি হাজী সোনা মিয়ার পুত্র খায়রুল মিয়া বাদি হয়ে সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল চতুর্থ আদালতে বাবলু বখত ও শাহাজউদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেন। গোয়াইনঘাট থানার এসআই হাবিবুর রহমান ২০১৪ সালের ২৯ শে জানুয়ারি আদালতে বাবলু ও শাহাজের বিরুদ্ধে জালিয়াতির প্রমান পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। একই সঙ্গে সাব রেজিস্ট্রার অফিস থেকে বালাম বই জব্দ করা হয়। প্রায় ১১ বছর দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর এই রায় ঘোষনা করা হয়। আদালতে মামলা চলার সময় ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট হাসান আহমদ জানিয়েছেন- আদালতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা হয়েছে। আদালত দুই আসামীকে সাজা দিয়েছেন। তবে রায় উপলক্ষে সকালে আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়েছিলো। কিন্তু রায় ঘোষনার সময় তারা অনুপস্থিত ছিলো। এ রায়ের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে ভুমি জালিয়াতি করে কেউ পার পায় না।

মামলার বাদি খায়রুল মিয়া জানিয়েছেন- ভুমি জালিয়াতির মামলা দায়ের করার পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করা হয়েছে। এক পর্যায়ে তারা ভুমি জালিয়াত মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু শত বাধা সত্বেও তিনি আইনী লড়াই চালিয়ে ১১ বছর পর ন্যায় বিচার পেয়েছেন। এতে তিনি সন্তুষ প্রকাশ করেন।

Share





Related News

Comments are Closed