Main Menu

পঞ্চগড়ে এক সপ্তাহ ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

মোঃ সফিকুল আলম দোলন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সহ আশে পাশের উপজেলাগুলোতে এক সপ্তাহ ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। পৌষের তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। মঙ্গলবার বেলা ১টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।

তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত সোমবার সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

উপজেলাগুলোর বিভিন্ন স্থান ঘুরে ও খবর নিয়ে জানা যায়, সকালে কুয়াশা না থাকলেও বরফের মতো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনের বেলায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল থেকেই হিমেল হাওয়া বইছে । বিকাল হলেই উত্তর কোণ থেকেই বয়ে আসে হিমেল হাওয়া। এ হিমেল হাওয়ায় বাড়তে থাকে শীতের মাত্রা। প্রান্তিক মানুষগুলো শীত নিবারণে বাড়ির উঠোনে খড়-কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন। শীতের দাপটে নিম্নবিত্ত ও দিনমজুরদের কাজে যেতে সমস্যা হচ্ছে। তবে জীবিকা ও পরিবারের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়েই কনকনে শীতের মধ্যেই কাজে যেতে দেখা যায়। বোরো ধান, গম, ভুট্টাখেত ও চা-বাগানগুলোতে শীতে কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শ্রমিকদের। শীত নিবারণে শহরের হাটবাজারের ফুটপাতের কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এসব ক্রেতার মধ্যে কেউ নিম্নবিত্ত, কেউ শ্রমিক আবার কোনো বিত্তশালীরাও কিনে নিচ্ছেন আধা পুরোনো শীতের কাপড়।

ফুটপাতে দোকান থেকে শীতের কাপড় কেনার সময় কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। তারা জানান, শীতের কাপড় কেনার জন্য খুঁজছি। পছন্দ হয়েছে, তবে এখানেও দাম বেশি।

এদিকে শীতের মধ্যে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতে জ্বর-সর্দি, কাশি, অ্যাজমা, সাইনোসাইটিসসহ বিভিন্ন রোগীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকায় চিকিৎসকরা রোগীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিচ্ছেন।

উপজেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, পৌষ মাসের গত এক সপ্তাহ ধরেই তীব্র শীত দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ২০ ডিসেম্বর থেকে ৮-এর ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। সোমবার সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ক্রমে শীতের তীব্রতা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

Share





Related News

Comments are Closed