Main Menu

বৃহস্পতিগ্রহ সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: বৃহস্পতি বা জুপিটার সৌর জগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পঞ্চম গ্রহ। বৃহস্পতি ব্যতিত সৌর জগতের বাকি সবগুলো গ্রহের ভরকে একত্র করলে বৃহস্পতির ভর তা থেকে আড়াই গুণ বেশি হবে। বৃহস্পতিসহ আরও তিনটি গ্রহ অর্থাৎ শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুনকে একসাথে গ্যাস দানব বলা হয়।

বৃহস্পতি (Jupiter) গ্রহের নামকরণ করা হয় রোমান মিথোলজির দেবতাদের রাজা জুপিটার (Jupiter) এর নামে।

পৃথিবী থেকে দেখলে বৃহস্পতির আপাত মান পাওয়া যায় ২.৮। এটি পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান তৃতীয় উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। কেবল চাঁদ এবং শুক্র গ্রহের উজ্জ্বলতা এর থেকে বেশি।

বৃহস্পতি গ্রহ পৃথিবীর তুলনায় ১১গুণ প্রশস্ত এবং তিনশো গুণ বেশি বড়। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এটি পৃথিবীর হিসাবে ১২ বছর সময় লাগে এবং এটির একেকটি দিন ১০ ঘণ্টার ।

গঠন প্রণালীতের নক্ষত্রের সঙ্গে এর মিল রয়েছে, এটি বেশিরভাগ হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসে তৈরি। চাপের কারণে হাইড্রোজেন ধাতুর মতো হয়ে রয়েছে বলে মনে করা হয় । এই ধাতুর মতো হাইড্রোজেন সেখানকার চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের উৎস হতে পারে ।

গ্রহটিতে দেখতে পাওয়া মেঘের উপরের স্তরে অ্যামোনিয়া এবং হাইড্রোজেন সালফাইড রয়েছে। বৃহস্পতিগ্রহের নিম্ন-অক্ষাংশের ‘অঞ্চল’ পূর্ব-পশ্চিম বাতাস তৈরি করে। গ্রহটিতে যে বিশাল লাল বিন্দু দেখা যায়, সেটা হলো বিশাল ঝড় ভরটেক্স, যা পৃথিবীর চেয়ে বেশি প্রশস্ত।

>> বৃহস্পতি গ্রহ সৌরজগতের সবচেয়ে দ্রুত ঘূর্ণনশীল গ্রহ।
>> আকার আয়তনে বড় হলেও গ্যাসীয় হওয়ার কারনে বৃহস্পতি গ্রহকে “গ্যাস জায়ান্ট’ বলা হয়ে থাকে।
>> গ্রহটিতে সৌরজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড রয়েছে।
>> খালি চোখেই দেখা যায় বৃহস্পতি গ্রহ।
>> গ্যানিমিড নামে উপগ্রহটি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ। যার ব্যাস ৫২৬২ কিমি.।
>> বৃহস্পতি গ্রহে উপগ্রহের সংখ্যা ৬৭ টি। এদের মধ্যে চারটি প্রধান উপগ্রহ আছে। এদের নাম হলো ইও (Io), ক্যালিস্টো (Callisto), ইউরোপা (Europa), এবং গ্যানিমিড (Ganymede)।
>> উপগ্রহ গুলোকে গ্যালিলীয় উপগ্রহ বলা হয়, কারণ এদেরকে প্রথমবার দেখেছিলেন বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি। ১৬১০ খ্রীষ্টাব্দে তিনি তাঁর টেলিস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন বৃহস্পতির চারদিকে এরা ঘুরছে।

Share





Related News

Comments are Closed