Main Menu

ভার্চুয়াল আদালত অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর ফলে এখন থেকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে বিচার কাজ পরিচালনা করা যাবে।

আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের অনুমোদনের পর শনিবার (৯ মে) রাতে অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় প্রদানকালে পক্ষগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা প্রদান করে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

ফলে এখন থেকে ভিডিও কনফারেন্সসহ ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার পথ খুলল।

এর আগে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোর্ট পরিচালনার বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানান।

এ তথ্য নিশ্চিত করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর শনিবার এই অধ্যাদেশ জারি সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এর ফলে আজ রোববার (১০ মে) থেকেই অধ্যাদেশটি কার্যকর হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রয়োজনবোধে যেকোনো সময় ডিজিটাল পদ্ধতিতে মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে অডিও ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী আদালতে মামলার পক্ষরা বা তাদের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবীদের সশরীরে উপস্থিতি থেকে মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে আদালত বন্ধ থাকায় মামলাজট বাড়ার পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীরা বিচারপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম করার অধ্যাদেশের খসড়া মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করে আইন মন্ত্রণালয়।

গত ৭ মে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ ছুটিতে গত ২৬ মার্চ থেকে অফিস-আদালত বন্ধ রয়েছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচার থেকে মানুষ বঞ্চিত রয়েছে এবং মামলা জমে যাচ্ছে।

Share





Related News

Comments are Closed