• Home

www.boishakhinews24.com

আজ ১১ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
Main Menu
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • সিলেট বিভাগ
    • সিলেট জেলা
    • মৌলভীবাজার
    • সুনামগঞ্জ
    • হবিগঞ্জ
  • সিলেট নগরী
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • ক্রীড়া
  • বিনোদন
  • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  • সাহিত্য
  • বিশেষ সংবাদ
  • বিভাগীয় সংবাদ
    • ঢাকা
    • খুলনা
    • চট্রগ্রাম
    • বরিশাল
    • রংপুর
    • রাজশাহী
    • ময়মনসিংহ
  • অন্যান্য
    • ফিচার
    • শিক্ষা
    • নারী
    • কৃষি
    • লাইফ স্টাইল
    • এক্সক্লুসিভ
    • সাক্ষাৎকার
    • স্বাস্থ্য তথ্য
    • বিচিত্র সংবাদ

নেত্রকোনায় বীজতলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় চাষিরা

প্রকাশিতকাল: ৬:১০:০৩, অপরাহ্ন ২৪ নভেম্বর ২০১৯, সংবাদটি পড়েছেন ২০৫ জন

মো. কামরুজ্জামান, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরীসহ হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলার হাওরে এখনও পানি থাকায় ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে বোরো চাষ নিয়ে আশঙ্কায় আছেন চাষিরা। কৃষকরা জানান, সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি করতে না পারলে বোরো চাষে দেরি হবে। এতে আগাম বন্যায় ফসলহানির আশঙ্কা থাকবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর নেত্রকোনার ১০ উপজেলায় মোট ১১ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে হাওরাঞ্চলের খালিয়াজুরীতে ১ হাজার ২২৭ হেক্টর, মদনে ১ হাজার ১২৯ হেক্টর, মোহনগঞ্জে ১ হাজার ১২৭ হেক্টর, কলমাকান্দায় ১ হাজার ৩৮৮ হেক্টর ও বারহাট্টায় ১ হাজার ১১ হেক্টর জমি রয়েছে। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বীজতলায় এখনো পানি রয়েছে বলে জানান এ অঞ্চলের চাষিরা। ফলে তারা বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ আরও জানায়, জেলায় এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬২ মে.টন ধান। এরমধ্যে খালিয়াজুরীতে ১৯ হাজার ৭৮০ হেক্টর, মদনে ১৭ হাজার ১৫৫ হেক্টর, মোহনগঞ্জে ১৭ হাজার ১০ হেক্টর, কলমাকান্দায় ২১ হাজার ২১০ হেক্টর ও বারহাট্টায় ১৫ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হবে। উল্লেখিত উপজেলাগুলোতে আগাম বন্যায় ফসল হানির আশঙ্কা থাকে।

খালিয়াজুরীর কৃষক রহমত আলী তালুকদার বলেন, ‘এবার দেরিতে চারা রোপণ করতে হবে। তাই ফসল ভালো হওয়ার আশা কমছে। আরও ১০-১২ দিন পরে বীজ (জালা) ফেললে তখন শীত চলে আসবে। ফলে ভালো চারা পাওয়া যাবে না। ভালো চারা না হলে ভালো ফসলও হবে না। আর ফসল পাকতে দেরি হওয়ায় আগাম বন্যায় ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে।’

খালিয়াজুরী উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের কৃষক সুকোমল সরকার জানান, প্রায় প্রতিবছর হাওরে আগাম বন্যায় ফসল নষ্ট হয়। এ বছর এখনো বীজতলা তৈরি করা যাচ্ছে না। দেরীতে বীজতলা হলে ধান রোপণেও দেরী হবে। আর রোপণ করতে দেরী হলে ফসলহানির ঝুঁকি বাড়বে। একই উপজেলার তাতিয়ানয়াগাঁও গ্রামের সাধন চৌধুরী জানান, ‘ধনু নদীর উৎস এবং সুরমার মোহনা থেকে উত্তরাঞ্চল খানিকটা উঁচু। আবার নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর ধনু নদী থেকে কিশোরগঞ্জের ইটনা পর্যন্ত হাওর এলাকাটি তুলনামূলক নিচু।

অন্যদিকে ইটনা থেকে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যবর্তী মেঘনার মোহনা পর্যন্ত এলাকাটি ভরাট হয়ে উঁচু হয়ে গেছে। বিশেষ করে মেঘনার মোহনা থেকে উত্তর দিকে নদী খনন অত্যন্ত জরুরী। তা না হলে প্রতিবছর অকাল বন্যা থেকে ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না।’ এ সমস্যা কেবল খালিয়াজুরীর নয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মদন, মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা ও বারহাট্টা উপজেলায়ও একই অবস্থা। এসব এলাকার কৃষকরা জানান, হাওরের বীজতলায় অন্যবছরগুলোতে আরও এক সপ্তাহ আগে ধান বপন করা হতো। কিন্তু এ বছর সেই ক্ষেতে এখনও পানি আছে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।

কৃষি বিশেষজ্ঞ ও হাওরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাওরের বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, গত বোরো মৌসুমসহ অসময়ে ভারী বৃষ্টিপাত, দীর্ঘদিন ধরে নদী খনন না করায় পলি জমে ভরাট হওয়া এবং মেঘনা নদীতে তিনটি ব্রিজ নির্মাণের কারণে হাওর থেকে পানি সরতে দেরি হচ্ছে। জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, হাওরাঞ্চলে আগাম জাতের ধান চাষের পরামর্শ দিচ্ছি। ব্রি-২৮ জাতের ধান বপন করলে আগাম বন্যায় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কিছু কিছু এলাকায় বীজতলা তৈরি করে বীজ বপন শুরু করেছের কৃষকরা। এক সপ্তাহের মধ্যে বীজতলা তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে।

জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, বিভিন্ন সভা সেমিনারে হাওরাঞ্চলের কৃষকদেরকে আগাম জাতের ধান চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে উন্নত জাত ও কমদিনে ফলন সম্পন্ন ধান চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। খালিয়াজুরী উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের কৃষক মান্না মিয়া জানান, প্রায় প্রতিবছর হাওরে আগাম বন্যায় ফসল নষ্ট হয়। এ বছর এখনো বীজতলা তৈরি করা যাচ্ছে না। দেরীতে বীজতলা হলে ধান রোপণেও দেরী হবে। আর রোপণ করতে দেরী হলে ফসলহানির ঝুঁকি বাড়বে।

একই উপজেলার তাতিয়ানয়াগাঁও গ্রামের সাধন চৌধুরী জানান, ‘ধনু নদীর উৎস এবং সুরমার মোহনা থেকে উত্তরাঞ্চল খানিকটা উঁচু। আবার নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর ধনু নদী থেকে কিশোরগঞ্জের ইটনা পর্যন্ত হাওর এলাকাটি তুলনামূলক নিচু। ওদিকে ইটনা থেকে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যবর্তী মেঘনার মোহনা পর্যন্ত এলাকাটি ভরাট হয়ে উঁচু হয়ে গেছে। বিশেষ করে মেঘনার মোহনা থেকে উত্তর দিকে নদী খনন অত্যন্ত জরুরী। তা না হলে প্রতিবছর অকাল বন্যা থেকে ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না।’ এ সমস্যা কেবল খালিয়াজুরীর নয়।

জানা যায়, মদন, মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা ও বারহাট্টা উপজেলায়ও একই অবস্থা। এসব এলাকার কৃষকরা জানান, হাওরের বীজতলায় অন্যবছরগুলোতে আরও এক সপ্তাহ আগে ধান বপন করা হতো। কিন্তু এ বছর সেই ক্ষেতে এখনও পানি আছে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। কৃষি বিশেষজ্ঞ ও হাওরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ, গত বোরো মৌসুমসহ অসময়ে ভারী বৃষ্টিপাত, দীর্ঘদিন ধরে নদী খনন না করায় পলি জমে ভরাট হওয়া এবং মেঘনা নদীতে তিনটি ব্রিজ নির্মাণের কারণে হাওর থেকে পানি সরতে দেরি হচ্ছে।

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, হাওরাঞ্চলে আগাম জাতের ধান চাষের পরামর্শ দিচ্ছি। ব্রি-২৮ জাতের ধান বপন করলে আগাম বন্যায় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কিছু কিছু এলাকায় বীজতলা তৈরি করে বীজ বপন শুরু করেছেন কৃষকরা। এক সপ্তাহের মধ্যে বীজতলা তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে।

জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, বিভিন্ন সভা সেমিনারে হাওরাঞ্চলের কৃষকদেরকে আগাম জাতের ধান চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে উন্নত জাত ও কমদিনে ফলন সম্পন্ন ধান চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

কৃষি Comments are Off


« নিউ জিল্যান্ডে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প (Previous News)
(Next News) সিলেট ট্যুরিস্ট ক্লাবের কার্যালয় উদ্বোধন »



Related News

ধানের মূল্য নিয়ে সুনামগঞ্জের কৃষকদের শঙ্কা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : চলতি আমন মৌসুমে সুনামগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। প্রকৃতিRead More

বিশ্বনাথে সবজি চাষের ধুম পড়েছে

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শীতকালীন সবজির ঘ্রাণ। এই মৌসুমের সবজিRead More

  • বিশ্বনাথে ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

  • নেত্রকোনায় বীজতলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় চাষিরা

  • জগন্নাথপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন

  • দক্ষিণ সুরমায় নবান্ন উৎসব পালন

  • বিশ্বনাথে আমন ধান কাটা শুরু

  • সিলেটে ১১৩০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা

  • গাঁদা ফুল চাষ পদ্ধতি

  • চুনারুঘাটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মাল্টা চাষ

Comments are Closed

সর্বশেষ

  • সিলেটে ‘ই ট্রাফিকিং সিস্টেম’-এর যাত্রা শুরু
  • পেঁয়াজ কিনতে দীর্ঘতম লাইন কমলগঞ্জে
  • ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে টিপু সুলতানের মৃত্যুদন্ড
  • ইবিতে পেশা ভিত্তিক আঞ্চলিক বিতর্ক অনুষ্ঠিত
  • খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সিলেটে বিএনপির মশাল মিছিল
  • চট্রগ্রামের কাছে হারলো সিলেট থান্ডার
  • বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে জাফলং সেতু
  • জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’
  • আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস আজ

আবহাওয়া

https://www.booked.net/

+22
°
C

+22°
+20°

Sylhet
Wednesday, 27

See 7-Day Forecast

এই মূহুর্তের পাঠক

৩৯ Users Online
Editor: Mohammed Mohsin
Office: Block C, House 10 (Ist Floor)
KumarPara, Sylhet-3100, Bangladesh
E-mail: boishakhinews24@hotmail.com
Website: https://www.boishakhinews24.com
Phone: +880 1711 921197
© Copyright-2014 Boishakhinews24.com All Rights Reserved

Developed By Mediait

© 2019: www.boishakhinews24.com | NewsPress Theme by: D5 Creation | Powered by: WordPress