Main Menu

ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস সিটিজ ফোরামের ওপেনিং সেশনে বাগছাস এর কেন্দ্রীয় সংগঠক ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা

জাবি প্রতিনিধি: দক্ষিণ কোরিয়ার গুয়াংজু শহরে গত ১৪ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস সিটিজ ফোরামের ওপেনিং সেশনে বাংলাদেশ জুলাই অভ্যুত্থান ও কোরিয়ার মে অভ্যুত্থানের ওপর নিজের লেখা কম্পারেটিভ পেপার ডিসকাশনে সর্বকনিষ্ঠ বক্তা হিসাবে বক্তব্য রেখেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এর কেন্দ্রীয় সংগঠক ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা।

সভায় তার পাশাপাশি বক্তব্য রেখেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি জেমস হেনান, জার্মানের রাজনৈতিক ফাউন্ডেশন ফ্রেডরিক ইবার্ট স্টিফাং এর প্রতিনিধি ক্রিস্টোফ হুসের, গুয়াংজু এর মেয়র কাং গি – জুন।

অভ্যুত্থান পূর্ববর্তী বাংলাদেশে তার জীবনযাপন এবং তার পরের জীবনে মানব অধিকার রক্ষা হবার বিষয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি শান্তি ও আন্তর্জাতিক সংহতি সংরক্ষণে তিনি ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কিভাবে কাজ করছে বা কি ধরনের আন্তর্জাতিক সহায়তা আশা করছে সে ব্যাপারে ও বিশদ আলোচনা করেন।

রাজনৈতিক স্বাধীনতা, বিরোধী দলগুলোর অধিকার সংরক্ষণ সহ সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এবং আন্দোলনে নারীর সক্রিয় ভূমিকাকে তুলে ধরার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে দাবি জানান।

বক্তব্য এর পর প্রশ্নোত্তর পর্বে ফারিনাকে কোরিয়ান এক সাংবাদিক জিজ্ঞেসা করেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে আপনার দল নতুন ইন্টেরিম প্রধান ড. ইউনূসকে কিভাবে দেখছেন? ”

যার উত্তরে ফারিনা জানান, ইন্টারিম হিসাবে ড. ইউনূস এর দায়িত্ব পালনের মাত্র ৬ কি ৭ মাস হয়েছে, এর মধ্যেই তার ব্যাপারে কিছু বলাটা সমীচীন হবে না।

তবে তিনি জানান, “নোবেল বিজয়ী হিসাবে উনার অর্থনৈতিক জ্ঞান, রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতির কথা মাথায় রেখে আমরা সকলেই আশাবাদী, কিন্তু তাকে প্রশংসার মাধ্যমে এমন কোনো মানুষে তাকে পরিণত করতে চাই না, যেটা এই দেশের মানুষ তার থেকে আশা করে না।

এছাড়াও মিলিটারি অর্থায়নের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কোনো দেশে মিলিটারি অর্থায়নের পূর্বে অবশ্যই যাছাই বাছাই দরকার। কেননা, বিভিন্ন দেশ এই অর্থায়নকে তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিল এবং অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ হিসাবে দেখে”।

ফারিনা বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আই বি এ অনুষদে ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছেন।

Share





Related News

Comments are Closed