গোলাপগঞ্জে ব্যবসায়ী শাহিন হত্যায় ১ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক শাহিন হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড এবং ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরো ৩ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৭ মে) সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান এই রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জামশেদ আলম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ওয়াহিদুর রহমান সানি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমান ফয়সালের ছেলে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার কায়স্ত গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে সারওয়ার হোসেন, মানিক মিয়ার ছেলে শাকিল আহমেদ, নুর ইসলামের ছেলে ফাহিম ইসলাম এবং বিশ্বনাথ উপজেলার বাহাড়া গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে রায়হান আহমেদ। আসামীদের মধ্যে রায়হান পলাতক রয়েছেন। বাকী আসামীরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তাছাড়া এই মামলায় জামিনে থাকা গোলাপগঞ্জের হাজিপুর গ্রামের মৃত তৈবুর রহমানের ছেলে মাজেদুর রহমানকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
নিহত এহতেশামুল হক শাহিন গোলাপগঞ্জের হাজিপুর লরিফর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে। তিনি হেতিমগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।
জানা যায়, শাহিন ২০২১ সালের ২১ মার্চ দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে জরুরী কাজ শেষ করে সিলেট পৌছে সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রামে আসামাত্র কয়েজন সন্ত্রাসী রাস্তায় কলাগাছ ফেলে অটোরিকশার গতিরোধ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে চালক ও পরিবারের সহযোগিতায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২৩ মার্চ নিহতের ছোট ভাই ইফতেখারুল হক সবুজ বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ২ মে র্যাব-৯ সদস্যরা ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
Related News

হবিগঞ্জে মামলা থেকে ২২ বছর পর খালাস পেলেন শিবিরের সাবেক সভাপতি
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন কর্তৃক দায়েরকৃতRead More

১১৮ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনRead More
Comments are Closed