Main Menu

প্রবাসী সুরত মিয়া হত্যার বিচার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ১৯৯৬ সালের ৯মে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সুরত মিয়াকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিকিউরিটি জোনে কাস্টমস কর্মকর্তারা পিটিয়ে হত্যা করার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের মধ্যেমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সিলটি পাঞ্চায়িত এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমদ চৌধুরী।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১টা ৩০ মিনিটে সিলটি পাঞ্চায়িত এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হাই কমিশনের মিশন প্রধান মুহাম্মদ শাহারিয়ার হাতে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তিনি।

স্মারক লিপিতে বলা হয়- ১৯৯৬ সালের মে মাসের ৯ তারিখের এ ঘটনার আজ প্রায় ২৯ বছর হলেও এই হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি। বৃটেনের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সুরত মিয়া (৩৫) এল এম এর ফ্লাইটে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছান। তার কাছে ৪ হাজার পাউন্ড ছিল। সেটার দিকে কাষ্টমসের নারী কর্মকর্তার নজর যায়। ঘুষ দাবী করেন সেই নারী কর্মকর্তা। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রতিবাদ করেন সুরত মিয়া। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কাষ্টমসের কর্মকর্তারা মিলে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এক পর্যায়ে কাঠের টুকরা দিয়ে মাথায় আঘাত করা হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হলেও তাদের শাস্তি হয় নাই। স্বৈরাচার খুনী হাসিনা সরকার বিচারের নামে প্রহসন করে। প্রবাসীদের বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে স্বাক্ষী দেওয়ার নামে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে খুনী হাসিনা সরকার। প্রবাসীরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রাণ শক্তি। প্রবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন। একজন প্রবাসী দেশে গিয়ে এই ভাবে হত্যার শিকার হবে তাহা কাহারও কাম্য নয়।

সিলটি পাঞ্চায়িত এর সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমদ চৌধুরী প্রবাসী ব্যবসায়ী সুরত মিয়া হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রবাসী বান্ধব বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান। বিজ্ঞপ্তি

Share





Related News

Comments are Closed