Main Menu

সিলেটে মৌসুমের প্রথম শিলাবৃষ্টি, ফসলের ক্ষতি

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ খরার পর বৃহস্পতিবার প্রতিক্ষিত বৃষ্টিতে ভিজেছে সিলেট। তবে সিলেটের কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। মৌসুমের প্রথম এই শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে ফসলের।

ফাগুনের শেষ সময়ে বৃহস্পতিবার জৈন্তাপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঝড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে ছিল ব্যাপক শিলাবৃষ্টি। এতে শিলাবৃষ্টি যেন তাণ্ডব চালিয়েছে ঘরের টিনে ও ফসলি ক্ষেতে। শিলাবৃষ্টিতে ঘরের টিন ফুটোসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

দীর্ঘদিন কড়া রোদের পর বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে পশ্চিম আকাশে ব্যাপক গর্জন শুরু হয়। এরপর ৯টা থেকে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী এ শিলাবৃষ্টিতে জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন, চিকনাগুল ইউনিয়ন সহ গোয়াইনঘাট উপজেলার কিছু এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি ওই এলাকার অনেক পরিবারের টিনের চালা ফুটো হয়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমার ঘরের টিন ফুটো হয়ে গেছে এখন বাহিরে পানি পড়ার আগে আমার ঘরে পানি পড়বে। শুধু আমার নয়, আমার এলাকার অনেক পরিবারের একই অবস্থা টিনের চাল ও ফসলের মাঠ শিলাবৃষ্টির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শীত বিদায়ের পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়ছে তাপমাত্রা। কয়েক দফায় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও এক মাসেরও বেশী সময় ধরে বৃষ্টির দেখা পায়নি সিলেট। ফলে তাপমাত্রা ক্রমশই বাড়ছে। রমজানে এক পশলা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় সিলেটের মানুষ। অবশেষে ইফতারের পরপরই নগরে নামে স্বস্তির বৃষ্টি।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সিলেট নগরীতে শুরু হয় থেমে থেমে বৃষ্টি। যা স্থায়ী ছিলো প্রায় আধাঘন্টা। তবে বৃষ্টির সাথে হালকা ঝড়ের আগমনে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা। ঝড়-বৃষ্টি শুরুর সাথে সাথে নগরের বিভিন্ন স্থানে চলে যায় বিদ্যুৎ। ফলে তারাবির নামাজে থাকা মুসল্লীগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। রাত ১০টা পর্যন্ত নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুত ছিলনা।

নগরীর মির্জাজাঙ্গাল বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের হেল্প লাইন নাম্বারে ফোন দিলে তারা জানান, ঝড়ের কারণে সার্কিট হাউজ থেকে শুরু করে বন্দরবাজারের কিছু এলাকার লাইন ফল্ট হয়ে যায়। ফল্টের স্থান খুঁজতে সময় লেগেছে।

তবে সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিতে নগরজীবনে ফিরেছে প্রশান্তি। এই সময়ে বৃষ্টি জরুরী ছিলো বলে জানিয়েছেন কৃষকরাও। রাত ১২ টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও বৃষ্টি হচ্ছিল।

Share





Related News

Comments are Closed