Main Menu

জাফলংয়ে টাস্কফোর্সের অভিযান, ৫০ ট্রাক ও পাঁচ শতাধিক নৌকা জব্দ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের জাফলংয়ে ইসিএভুক্ত এলাকায় প্রশাসনের টাস্কফোর্স অভিযানে ১০ লাখ ঘনফুট বালু, ২০ হাজার ঘনফুট পাথর, ৫০টি ড্রাম ট্রাক ও পাঁচ শতাধিক বার্কি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। এতে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে পুলিশ ও আনসার ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে জাফলংয়ে বালু-পাথর উত্তোলন প্রতিরোধে বিজিবি-পুলিশ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ৫০টি যানবাহন (ড্রাম ট্রাক, পে লোডার, ট্রাক) এবং ৫০০ (পাঁচ শতাধিক) বার্কি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। ইসিএভুক্ত জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে বল্লাঘাট, লাখেরপাড়, জুম পাড়, কান্দুবস্তি, নয়াবস্তি এলাকায় নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে আনুমানিক ১০ লাখ ঘনফুট বালু ও ২০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে।

জব্দকৃত মালামালের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিকভাবে দুটি স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে আনসার ও পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।

জব্দকৃত পরিবহন (ড্রাম ট্রাক, ট্রাক ও পে-লোডার) গুলোর বিষয়ে পরিবহন শ্রমিক, মালিক ও শ্রমিক নেতারা অভিযানকালে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ও জনবল সহ প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় পরিবহনগুলো থেকে বালু আনলোড করে পরিবহন শ্রমিক নেতা মো: ইয়াসিনের নিকট হতে মুচলেকা আদায় করা হয়। পরিবহন-মালিক শ্রমিকেরা ইসিএভুক্ত এলাকাসহ গোয়াইনঘাটে বালু-পাথর অবৈধভাবে উত্তোলনে যুক্ত থাকবে না মর্মে উপস্থিত টাস্কফোর্স টিমের ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অঙ্গীকার করেন।

নদী ও নদী তীরবর্তী ইসিএভুক্ত এলাকায় অভিযান শেষে জাফলংয়ের বল্লাঘাট তীরবর্তী ক্রাশার মিল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় মিলগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা এলসি পাথরের পাশাপাশি দেশি পাথরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সার্বিক বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মামলা দায়ের করা হবে। সকাল ১১টা থেকে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

অভিযান পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সাঈদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মামুন, বিজিবির সংগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আলী ও তামাবিল ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার আরিফ।

Share





Related News

Comments are Closed