Main Menu

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি, পানি নামায় ধীরগতি

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যাপ্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামছে ধীরগতিতে। সুরমা নদীতে পানি কমলেও কুশিয়ারা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বুধবার সকাল নয়টার দিকে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, নদ-নদী পানিতে ভরাট থাকায় বন্যার পানি নামতে সময় লাগছে। ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢল না নামলে এবং সিলেটে বৃষ্টি কম হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

সিলেট পাউবো সূত্র জানায়, বুধবার সকাল নয়টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপদসীমার নিচে ছিল। এর আগে সকাল ছয়টা পর্যন্ত পানি বিপদসীমার ওপরে ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। আবার কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছিল। অমলশিদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানি বিপদসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- বুধবার দুপুর পর্যন্ত সিলেটে পৌনে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন।

জানা যায়, এ সময় পর্যন্ত সিলেটে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ২৫০ জন বন্যা কবলিত ছিলেন। এর মধ্যে মহানগরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেমে এসেছে ৩ শ’-তে। বর্তমানে মহানগরের ২টি ওয়ার্ড ও জেলার ১০৬টি ইউনিয়নে বন্যার পানি রয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ১২ হাজার ৪২৩ জন। আগের দিন ছিলেন সাড়ে ১২ হাজার ৬৭৯ জন।

জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করেছে।মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ফিরছেন বাসা-বাড়িতে। আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। পৌঁছানো হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধপত্র।

এদিকে, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ঘরে ফেরা মানুষজন পোহাচ্ছেন নানা ভোগান্তি। বন্যায় বিধ্বস্ত ঘর মেরামত, বিশুদ্ধ পানির সংকট ও রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের কষ্টে আছেন তারা। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণের সংকটও রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

Share





Related News

Comments are Closed