Main Menu

ঈদের দিনে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ২

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।

মঙ্গলবার (৩ মে) দুপুর ২টায় উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহালবাড়ি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফা জামান সিদ্দিকের সঙ্গে বজলু খালাসির ছেলে আরিফ খালাসির বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আরিফ খালাসির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল হামলাকারী মোস্তফা জামান সিদ্দিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে মোস্তফা জামান সিদ্দিকের সমর্থক চরদৈত্তরকাঠি গ্রামের মৃত হাসেম মোল্লার ছেলে আকিদুল মোল্লা (৪৬) ও একই গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে খায়রুল শেখ গুরুতর আহত হয়। তাদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক আকিদুল মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর খায়রুল শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় খায়রুলকে ফরিদপুর নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদের দুই ছেলে মাছুদ আহম্মেদ (৪০), আলমগীর আহম্মেদ (৫০) গুরুতর আহত হয়। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত রাজিবুল আহমেদ, আব্দুল কাদের ও সোহেল আহমেদ বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

এ ব্যাপারে মোস্তফা জামান বলেন, ঈদের নামাজের পর দুপুরের দিকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলাম। এ সময় বজলু খালাসির ছেলে শরীফ খালাসি তার ভাই আরিফ খালাসি ও দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল আমার ও আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার চাচাতো ভাই আকিদুল ও খায়রুল নিহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লাশের সুরতহাল করা শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই একজনের মৃত্যু হয়।

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বলেন, আপাতত পরিবেশ শান্ত করতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।

Share





Related News

Comments are Closed