Main Menu

প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও জাবিতে বহিরাগতদের উপচে পড়া ভিড়

জাবি প্রতিনিধি: ৭০০ একরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। এই সৌন্দর্যের টানেই প্রতিদিন বিশেষ করে ছুটির দিনে অসংখ্য দর্শনার্থী ক্যাম্পাসে ছুটে আসে। তবে, গত ২১ জানুয়ারি এক সিন্ডিকেট সভায় করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্যাম্পাসে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল বহিরাগতদের প্রবেশ ও বিচরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কিন্তু, শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অসংখ্য বহিরাগতকে ঘোরাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া করতে দেখা গেছে। ক্যম্পাসের বটতলায় অসংখ্য প্রাইভেট কার চোখে পড়েছে। বটতলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে খেতে পারেনি ও নিজেদের সুরক্ষিত মনে করছে না বলে অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগও করেছে।

এ বিষয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসানুর রহমান সুমন বলেন, ‘এই করোনাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুকি নিঃসন্দেহে বাড়াচ্ছে। ক্যাম্পাসে তাদের অবাধ বিচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত বলে আমি মনে করি।’

বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দিনেশ রানা বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘আজকে আমি বটতলায় খেতে গিয়ে বহিরাগতদের কারণে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হয়েছি। তাদের অধিকাংশেরই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিল না। এছাড়া, তাদের ব্যবহৃত গাড়ির কারনে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার কে নিবে? এ বিষয়ে প্রসাশনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘এই অবস্থার জন্য আমরা ক্যাম্পাস কমিউনিটি-শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী আমরা সবাই দায়ী। এরা ক্যাম্পাসে কারো না কারো রেফারেন্স এ ঢুকে। সিকিউরিটি গার্ডরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে তারা ক্যাম্পাসের কাউকে ফোন দিয়ে গার্ডকে ফোন ধরিয়ে দেয়। আমার রেফারেন্স দিয়ে কেউ ক্যাম্পাসে ঢুকলেও আমার বাড়িতে আসে না, ক্যাম্পাস ঘুরে বটতলায় খাওয়া দাওয়া করে তারা চলে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান ছাত্ররা তাদের অতিথিদের ঢোকানোর জন্য অনেক সময় গার্ডদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের রেফারেন্সেও অনেকে ক্যাম্পাসে ঢোকার সুযোগ পায়। তো আমরা ক্যাম্পাস কমিউনিটি নিজেরা যদি সচেতন হই এবং আমাদের অতিথিদের ক্যম্পাসে ঢোকার বিধিনিষেধ সম্পর্কে অবহিত করি তাহলে আমি মনে করি এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

উল্লেখ্য, ক্যাম্পাসের এই দীর্ঘ সমস্যা নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রসাশনের কাছে বার বার আবেদন জানায়। প্রশাসনও এ বিষয়ে অনেক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এ সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান পরিলক্ষিত হয়নি।

Share





Related News

Comments are Closed