Main Menu

ওসমানী বিমানবন্দর ঘেষে দু’শতাশিক ক্রাশার মেশিন, হুমকির মূখে নিরাপত্তা

বিশেষ সংবাদদাতা: সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সীমানা ঘেষে স্থাপন করা হয়েছে শত শত ষ্টোন ক্রাশার মেশিন। ফলে চরম হুমকির মূখে বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অবৈধ ও অপরিকল্পিত এ সব ক্রাশার মেশিন উচ্ছেদে এলকাবাসী সরকার ও প্রশাসনের আশু পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকার আটকেয়ারি ও ধুপাগোল প্রভৃতি স্থানে বিমান বন্দরের উত্তর সীমানা ঘেষে দুই শতাধিক ক্রাশার মেশিন রয়েছে। রাতদিন বিরামহীন পাথর ভাঙ্গার শব্দে এলাকার জনজীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। ক্রাশার মেশিনের শব্দ, ধূলাবালি ও ডাস্ট এলাকাকে প্রতিনিয়ত দূষিত করছে। এলাকার মানুষ এখন সাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। ক্রাশার মেশিন থেকে নির্গত ডাস্ট অত্র এলাকার ফসলের জমি বিনষ্ট করছে। বিমান বন্দররের সীমানা ঘেসে এইসকল ক্রাশার মেশিন স্থাপনের ফলে বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও হুমকির সম্মুখীন।
বিমান উঠা-নামার সময় বাতাসে ক্রাশার মেশিন নির্গত ধুলো-বালি বিমান যাত্রী ও বিমানের ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিমান বন্দরের নিরাপত্তা বেস্টনির কাছে স্থাপিত এ সকল ক্রাশার মেশিন থেকে যেকোনো সময় দূর্ঘটনার উৎপপ্তি হতে পারে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই এ সকল মিল মালিক তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘আল্লাহর দান মায়ের দোয়া’ নামের মিল মালিকের রয়েছে অর্ধশতাধিক ক্রাশার মিশিন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনেক ভুক্তভোগী লোকজন জানান ক্রাশার মেশিনের শব্দে তারা রাতে ঘুমাতে পারেন না। ফলে দিনে কাজ-কাম করতে তাদের মারাত্মক অসুবিধে হচ্ছে। মেশিনের ডাস্ট ও ধুলাবালি বাতাসে মিশে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা হচ্ছে। এতে দীর্ঘ মেয়াদি শারিরীক রোগের কারণ তৈরি হচ্ছে। এলাকার স্কুল মাদ্রাসা ও মসজিদে ধুলো-বালি ও ডাস্ট পড়ে প্রতিকুল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নামাজ বন্দেগী ও শিশু-কিশোরদের লেখা পড়ায় চরম বিঘœ ঘটছে। এ ব্যাপারে নীরিহ মানুষ প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রভাবশালী মিল মালিক এলাকায় একটি লাঠিয়াল ও সন্ত্রাসী চক্র তৈরি করে রেখেছে। মিল মালিকের টাকা দিয়ে পূষা এসব মাস্তান সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা নীরিহ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিবৃত করে রাখে। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ পরিদপ্তর এ ব্যাপারে সম্পূর্ন নির্বিকার। পরিবেশ রক্ষাকারী সংগঠন এই সকল পরিবেশ বিধ্বংসী ক্রাশার মেশিন উচ্ছেদে মামলা করেও কোন ফল পায়নি। স্থানীয় প্রশাসন আদালতের আদেশ কার্যকর না করায় পরিবেশ বিধ্বংসী ক্রাশার মালিকরা সম্পূর্ন বে-পরোয়া। তারা প্রতিমাসে বিপুল অংকের টাকা বখরা দিয়ে পরিবেশ পরিদপ্তর ও অধিদপ্তরের মুখ বন্ধ করে নির্বিঘেœ তাদের বিধ্বংসী অবৈধ ক্রাশার মেশিন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতকারীরা ক্রাশার মেশিন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিমান বন্দরে নাশকতা চালানোর সুযোগ নিতে পারে বলে অনেকে আশংকা করছেন। সিলেটস্থ পরিবেশ পরিদপ্তরের নাকের ডগায় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সীমানা ঘেষে অবাধে ক্রাশার মেশিন স্থাপন ও ব্যবসা জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করছে।
অবিলম্বে এ সকল অবৈধ ও পরিবেশ বিধ্বংসী ক্রাশারমেশিন উচ্ছেদ করে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত ও স্থানীয় জনসাধারণের জীবন যাপন দোষনমুক্ত করার জন্য ভোক্তভোগিরা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Share





Related News

Comments are Closed