শান্তির দূত হয়ে এসেছেন ড. জাফর ইকবাল স্যার, বাঁচালেন শিক্ষার্থীদের
অজয় বৈদ্য অন্তর: যেনো শান্তির দূত হয়ে এসেছেন ড. জাফর ইকবাল স্যার। ২৮ শিক্ষার্থী মরনাপন্ন অবস্থায় ছিলো দীর্ঘ ১৬৩ ঘণ্টা অনশনে। কিন্তু শাবির বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে যেনো শান্তি দূত হয়ে গমন করলেন।
অবেশেষে ১৬৩ ঘণ্টা পর ‘আমরণ অনশন’ ভাঙলেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ শিক্ষার্থী। আন্দোলনের ১৩ তম ও অনশনের ৮ম দিনে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ২০ মিনিটের সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। তবে অনশন ভাঙলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এই করোনাকালীন বিপর্যয়ে এতবড় ঝড়ের পার্দুভাব থেকে শেষ রক্ষা পাওয়া কঠিন। এ সময়ে বাচ্চারা না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। অনেকে তো অসুস্থ হয়েই পড়েছে ইতিমধ্যে। বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতেই হয় ড. জাফর ইকবাল স্যার কে। যার অমায়িক ব্যবহারে অনশনে থাকা বাচ্চাগুলো আর মুখ ফেরাতে পারেনি। সত্যি অন্য রকম ভালো লাগলো। খুব অস্বস্থির মধ্যে কেটেছিলো এ কটা দিন। বাচ্চারা না খেয়ে, না ঘুমিয়ে রাত দিন মৃত্যুর প্রহর গুনছিলো।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল স্যারের বিচক্ষণতার তারিফ করতেই হয়। দেশের এতো এতো এমপি মন্ত্রী অনশন ভাঙ্গার বৃথা চেষ্টা করলেন। অথচ অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল স্যার এসে ম্যাজিকের মতো কেমন সব সমস্যা সমাধান করে ফেললেন।
এর আগে বুধবার ভোরে শিক্ষার্থীরা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এলেই অধ্যাপক জাফর ইকবালের উপস্থিতিতে সকালে একযোগে অনশন ভাঙবেন তারা। তার আগে ভোররাতে জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন হকের সঙ্গে আলোচনার সময় এই প্রতিশ্রুতি দেন ক্যাম্পাসে অনশনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে আসেন শাবির সাবেক অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী (সাবেক অধ্যাপক) ইয়াসমিন হক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার সময় জাফর ইকবাল জানান, উচ্চ পর্যায়ে তার আলোচনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। এ কারণেই তিনি ক্যাম্পাসে ছুটে এসেছেন। অনশন না ভাঙিয়ে তিনি ফিরে যাবেন না।
এখন ঘরের ছেলেরা ঘরে চলে যাচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। জাফর ইকবাল স্যারের শিক্ষকতা জীবনের স্বার্থকতা এটাই। যারা ব্যর্থ হয়েছিলেন অনশন ভাঙ্গাতে তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে জাফর ইকবাল স্যার বুঝিয়ে দিয়েছেন। সব কাজ জোর করে আদায় করা যায় না ভালোবাসা দিয়ে আদায় করতে হয়। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের সময় ক্যাম্পাসে অনশনের জন্য গড়ে তোলা মঞ্চ ও শামিয়ানা ভেঙে দেন তারা। তাদের সব সরঞ্জামাদি নিয়ে বাড়ির পথ ধরলেন আন্দোলনকারী অনশনরত শিক্ষার্থীরা।
Related News
দেশের লবণে প্লাস্টিকের উদ্বেগজনক উপস্থিতি
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দেশের লবণে প্লাস্টিকের উদ্বেগজনক উপস্থিতিতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি কেজি লবণেRead More
এমন তারিখ দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরো ২০০ বছর
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: নতুন এবং পরিবর্তনের শক্তির সূচনা করে কুম্ভ রাশিতে একটি নতুন চাঁদের মাধ্যমেRead More
Comments are Closed