Main Menu

অভিযানে গিয়ে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে যেসব অনিয়ম পেল দুদক

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ ছিল ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী ও যাত্রী হয়রানীর। এসকল অভিযোগ তদন্তে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে অভিযান চালাতে গিয়ে একাধিক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযানে টিকিটের অতিরিক্ত দাম আদায়, পুরোনো রড নিলাম ছাড়াই বিক্রি, প্লাটফর্ম সংস্কারে অনিয়মসহ একাধিক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার।

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান শেষে জুয়েল মজুমদার বলেন, ‘আমাদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ঈদ উপলক্ষে টিকিট কালোবাজারি ও যাত্রী হয়রানি রোধ। কিন্তু এখানে এসে একের পর এক ভয়াবহ অনিয়মের চিত্র আমরা পেয়েছি।’

দুদক জানায়, স্টেশনের পুরোনো প্লাটফর্ম থেকে উত্তোলন করা সাড়ে তিন টন রড নিলাম ছাড়া ১ লাখ ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি সম্পদ এভাবে বিক্রির কোনো নিয়ম নেই।

এছাড়া রেলপথ নির্মাণে ব্যবহারের জন্য আনা পাথরের হিসাবও যথাযথ নয়। এবং পাথরের এক-তৃতীয়াংশ সুনামগঞ্জের ছাতকে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও এর কোনো লিখিত নথি নেই।

এ ছাড়া স্টেশনের দুটি নতুন প্লাটফর্ম সংস্কারে ২ কোটি টাকার কাজ চলছে অনুমোদনবিহীন নকশার ভিত্তিতে।

দুদক কর্মকর্তা জুয়েল মজুমদার বলেন, ‘নকশা এখনো অনুমোদিত নয়, অথচ সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। যদি সরকার নকশা বাতিল করে, তাহলে জনগণের দুই কোটি টাকা পানিতে যাবে।’

টিকিট কালোবাজারির বিষয়েও তদন্তে সত্যতা পেয়েছে দুদক। অভিযানে আজিজ নামের এক ব্যক্তি স্লিপার ক্লাসের টিকিটের জন্য ১২০০ টাকার পরিবর্তে ২০০০ টাকা দাবি করেন, যিনি স্টেশনে গেট কিপারের দায়িত্বে রয়েছেন।

জুয়েল মজুমদার বলেন, ‘টিকিট থাকার কথা অনলাইনে। অথচ দালালরা সেগুলো কীভাবে নিজেদের কাছে রেখে দেয়, সেটি খতিয়ে দেখা হবে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিষয়ে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আজিজ গেট কিপার, তার টিকিট বিক্রির সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো কাজ করে। এখন অভিযোগ উঠেছে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’

Share





Related News

Comments are Closed