ছাতকে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে ষাড়ের লড়াই

ছাতক প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে ষাড়ের লড়াই বন্ধে আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। প্রশাসন সক্রিয় না থাকার কারনে অনেকটা ঢাকঢোল পিঠিয়েই ষাড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করেছে ছাতকবাসী।
ছাতক থানার ওসি ও সহকারি পুলিশ সুপার, বিট অফিসারদের সাবিক সহযোগিতায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ডিঙ্গিয়ে ষাড়ের লড়াই অনুষ্টিত হয়।
রোববার (১১ মে) ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপির আমেরতল রুক্ষা ও ফুরকান নগর এলাকার ষাড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়।
উত্তর খুরমা বিট পুলিশ কর্মকতাকে বড় অংকের টাকা দিয়ে আমেরতল,রু
সিলেট বিভাগে ষাড়ের লড়াই বন্ধ করতে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টে পিটিশন করেন সিলেটের পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীনপিচ সিলেটের সদস্য সচিব রাহাত আহমত টিপু। পরবর্তীতে ওই বছরের ১৯ শে জানুয়ারি হাইকোট সিলেট বিভাগে ষাড়ের লড়াই বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। ২০১৬ সালের ১২ই ডিসেম্বর আদালত ষাড়ের লড়াই বন্ধ রাখতে আরও ৬ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন।
২০১৬ সালের ১২ই ডিসেম্বর এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। একই সাথে সুনামগঞ্জের ছাতকে এ ধরনের কার্যক্রমের ওপর আট সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
সারাদেশে বিভিন্ন প্রাণীর লড়াইয়ের মাধ্যমে পশু হত্যা এবং কুকুর নিধন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে অভয়রান্য বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েল ফেয়ার নামের একটি সংগঠন হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করে। আদালতে রিটকারী ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
খেলার নামে এ ধরনের নিষ্ঠুর পশু নির্যাতনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটে বলা হয়, এ ধরনের খেলা প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইন ও দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারার পরিপন্থী। এভাবে লড়াইয়ের মাধ্যমে পশু নিধন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
প্রতি বছর সুনামগঞ্জের ছাতকে হাইকোটের আদেশকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় অবাধে ষাড়ের লড়াই অনুষ্টিত হয়। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ষাড়ের মালিকগণ ট্রাক ও পিকআপ-ভ্যান দিয়ে ষাড় নিয়ে আসেন ছাতকের আমেরতল ফুরকার নগর গ্রামে। এটা স্পষ্ট আদালতের নির্দেশনা বিরোধী।
এব্যাপারে উত্তর খুরমা ইউপির বিট কর্মকতা এস আই সারোয়ার আহমদকে মোবাইলে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেনি। রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ছাতক থানার ওসি মুখলেছুর রহমান আকন্দ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি শুনেছি, বিট কর্মকতাকে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুল কাদেরকে তার অফিস নম্বারে বারবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
Related News

তাহিরপুরে পর্যটন স্পটে নৌকায় করে বিদেশি মদ বিক্রি
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পর্যটন স্পট নিলাদ্রীতে নৌকায় করে পর্যটকদের কাছে বিদেশি মদ-বিয়ার বিক্রিRead More

ছাতকে জালিয়াতি করে হাওরে বাঁধের টাকা তোলার অভিযোগ
ছাতক প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতকে হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে দুই ব্যক্তির নাম ও স্বাক্ষরRead More
Comments are Closed