Main Menu

গোলাপগঞ্জের ঘরে ঘরে গ্যাস লাইন ও স্থানীয়দের চাকুরীর দাবি

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: তেল, গ্যাস সমৃদ্ধ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসীর ন্যায্য দাবি-দাওয়া মেনে নিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন গোলাপগঞ্জ জাতীয় তেল, গ্যাস রক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

গত বুধবার (৯ অক্টোবর) গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে এই স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপি পেশ করেন তেল, গ্যাস রক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফারুক আহমদ, সদস্য সচিব মো. আব্দুল লতিফ সরকার। এসময় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান চৌধুরী, মো. জাহির উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, কাজী হাসান আলী, সদস্য হাফিজ নুরুল হক, রিয়াজ উদ্দিন, আব্দুর রউফ, সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র মনোয়ারা ফেরদৌস প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৈলাশটিলা কূপ সমূহে ৮টি তেল, গ্যাসকূপ রয়েছে। এসব কূপ থেকে প্রতিদিন ৪১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু উক্ত উপজেলার ৯০% জনগণ আবাসিক গ্যাস লাইন সংযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেজন্য জরুরী ভিত্তিতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে আবাসিক গ্যাস লাইন সংযোগ দিতে অনুরোধ জানান।

স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই উপজেলার যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষিত, বেকার যুবক-যুবতী রয়েছেন। তাদেরকে কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরী দিতে জরুরীভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। গোলাপগঞ্জ উপজেলার পেট্রোবাংলার কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) ফান্ডে বরাদ্দকৃত টাকা গোলাপগঞ্জ উপজেলার উন্নয়নে আজ পর্যন্ত ব্যয় করা হয় না। এ ফান্ডের বরাদ্দকৃত টাকার জবাবদিহীতা স্থানীয়দের কাছে দেওয়া হয় না। ফান্ডের টাকা কোথায় যায়? তাহা তদন্ত করে দেখার অনুরোধ জানান নেতৃবৃন্দ। বিগত এরশাদ সরকার সহ বিগত বিএনপি সরকারের আমলে এলাকাবাসীর কাছে ওয়াদাবদ্ধ ছিল যে ১৫% থেকে ২০% স্থানীয়দের চাকুরী দেওয়া হবে এবং আবাসিক গ্যাস লাইন সংযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। গোলাপগঞ্জ এলাকায় বর্তমানে ৭ হাজার ৮শত আবাসিক গ্যাস লাইন সংযোগ গ্রাহক রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার ৩৫ থেকে ৪০ হাজার আবাসিক গ্যাস লাইন সংযোগের প্রয়োজন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বহু সংখ্যক নতুন গ্রাহক আবাসিক গ্যাস লাইন পেতে বিভিন্ন জনের পকেট থেকে ৪০ লাখ টাকা জালালাবাদ গ্যাস অফিসে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু এই জমা দেওয়ার টাকা ও আবাসিক গ্যাস লাইনের কোনো খোঁজ মিলছে না। বিগত মহাজোট সরকার জনগণকে দোহাই দিয়ে বলেছিলেন দেশে গ্যাস কমে যাওয়ায় গ্যাস লাইন সংযোগ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্থানীয় কৈলাশটিলার ৮নং কূপ খননের সময় পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন যে, কূপে তেল, গ্যাস পাওয়া গেলে স্থানীয়দের চাকুরী সহ আবাসিক গ্যাস লাইন সংযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেখানে পর্যাপ্ত তেল, গ্যাস পাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ যে ওয়াদা করেছিলেন সেটির খেলাপ করা হয়েছে। উক্ত কূপ থেকে প্রতিদিন ১৬২১ কোটি টাকার তেল, গ্যাস বিক্রির পরিকল্পনা হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী এ বিষয়ে আন্দোলন, সভা, সমাবেশ করলে উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সকলে সভা ডাকেন। ঐ সভায় উক্ত কমিটির নেতৃবৃন্দ আমন্ত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করেন। ঐ সভায় পেট্রোবাংলার এমডি, জিএম, ডিজিএম কর্মকর্তাবৃন্দ কমিটির নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে স্থানীয়দেরকে আবাসিক গ্যাস লাইন সুবিধা সহ চাকুরী দেবেন। সেই আশ্বাস বর্তমানে বাস্তবায়ন না হওয়ায় এলাকাবাসী পূণরায় আন্দোলনের যাওয়ার কথা চিন্তা করছেন।

Share





Related News

Comments are Closed