Main Menu

শিশুসাহিত্যিক খালেক বিন জয়েনউদদীন মারা গেছেন

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক খালেক বিন জয়েনউদদীন (৭০) আর নেই।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে নিজ ফ্ল্যাটে মারা যান তিনি। ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন খালেক বিন জয়েনউদদীনের শ্যালক মো. তুষার।

খালেক বিন জয়েনউদদীনের মৃত্যুতে বাংলা একাডেমি এক শোকবার্তায় বলেছে, “বাংলাদেশের ছড়াসাহিত্য, শিশুতোষ জীবনী, মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধু বিষয়ক রচনা এবং সামগ্রিকভাবে বাংলা শিশুসাহিত্যে তার অবদান অবিস্মরণীয়৷ বাংলা একাডেমির সঙ্গে ছিল তার নিবিড় সম্পর্ক। একাডেমি থেকে তার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।”

শিশুতোষ রচনা এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রবন্ধ লিখে সুনাম কুড়ানো খালেক পঞ্চাশ বছর ধরে সাহিত্যচর্চা করেন। তার রচিত বইয়ের মধ্যে আছে ‘ধানসুপারি পানসুপারি’, ‘আতাগাছে তোতাপাখি’, ‘আপিল চাপিল ঘণ্টিমালা’, ‘জলকন্যে ঘাঘোর নদী’, ‘বকুলবনে জোছনাপরি’, ‘মউঝুরঝুর পুবাল হাওয়া’, ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই’, ‘একাত্তরের অশোক’, ‘নলিনীকান্ত ভট্টশালী’, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’, ‘বাংলাদেশের গণহত্যা’, ‘হস্তাক্ষরে শামসুর রাহমানের ছড়া-কবিতা’, ‘পালকি চলে গগনতলে’।

খালেক বিন জয়েনউদদীন ১৯৫৪ সালের ২৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার চিত্রাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা করেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স নিয়ে ১৯৭৫ সালে এমএ পাস করেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি অংশ নিয়ে যশোরের বারোবাজারে ধরা পড়ে পাকিস্তানি সেনা ছাউনিতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন, বন্দি থাকেন সাতমাস। তার বইয়ের ফ্ল্যাপে বলা হচ্ছে, পঁচাত্তরের পর তিনি ছড়া লিখে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদ করেন, যা মাসিক সমকালে প্রকাশিত হয়।

সাহিত্যচর্চার জন্য খালেক বিন জয়েনউদদীন বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদ, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, অগ্রণী ব্যাংক, তরিকত মিশন, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পরিষদ, কোটালীপাড়া গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ ও বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন।

Share





Related News

Comments are Closed