Main Menu

শমশেরনগর বাজারে ভেজাল ঘি ও নিন্মমানের মশলা, স্বাস্থ্য ঝুকিতে ক্রেতারা

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে শাহী ফুড প্রোডাক্টের শাহী ঘি, শাহী মরিচ, হলুদ ও মশলা উৎপাদনের পর প্যাকেটিং ও বাজারজাত করা হচ্ছে। উৎপাদিত শাহী ঘি ও মশলায় ভেজাল আর নিন্মমানের বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। বিয়ে অনুষ্ঠানাদিতে বাবুর্চিদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে এই ঘি ও মশলা বিক্রয়ের নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে। এতে ভেজাল ও নিন্মমানের ঘি ও মশলা খেয়ে মানব স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

জানা যায়, শাহী ফুড প্রোডাক্টস নাম ধারণ করে শমশেরনগরে দীর্ঘদিন ধরে শাহী ঘি ও শাহী মশলা বাজারজাত করে আসছে। এতে নিন্মমানের ও ভেজাল সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে ঘি। একইভাবে মরিচ, হলুদ ও মশলা উৎপাদন করে বাজারজাত করা হচ্ছে। উৎপাদিত পণ্য নিন্মমানের ও ভেজাল থাকার কারণে ক্ষণে ক্ষণে শাহী ফুড প্রোডাক্টস এর কারখানা স্থানান্তর করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে শমশেরনগর ইউপি রোডের ভাদাইরদেউল এলাকায় নির্বাহী হাকিম ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ভেজাল ঘি তৈরির দায়ে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় ও লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সামগ্রী আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হয়। এরপর কৌশলে আবারো স্থান পরিবর্তন করে মৌলভীবাজার সড়কস্থ রাধানগর গ্রামে শাহী ফুড প্রোডাক্টস এর স্বত্ত¡াধিকারী আব্দুস সামাদ সামাইল এর নিজ বাড়িতে কারখানা স্থানান্তর করা হয়। এখন পর্যন্ত সেখানে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নির্বিঘ্নে ঘি ও মশলা উৎপাদন ও বাজারজাত চলছে।

স্থানীয় দু’জন মোদি ব্যবসায়ী জানান, নিন্মমানের পণ্য থাকায় তারা ব্যবসার কৌশল পরিবর্তন করেছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাবুর্চিদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে এগুলো বিক্রি করানো হয়। শুধুমাত্র বিএসটিআই এর অনুমোদন নিয়েই ইচ্ছেমতো ঘি ও মশলা উৎপাদন করলেও তা দেখার কেউ নেই। এগুলোর মান খুবই নিন্মমানের এবং মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

অভিযোগ বিষয়ে শাহী ফুড প্রোডাক্টের স্বত্ত¡াধিকারী আব্দুস সামাদ সামাইল বলেন, বিএসটিআই থেকে অনুমোদন নিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করছি। আমার পণ্যের গুণগত মান ভালো না হলে বিএসটিআই কিভাবে অনুমোদন দিল বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, শমশেরনগরে যখন আসা হবে তখন সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, এখানে নতুন যোগদান করেছি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Share





Related News

Comments are Closed