Main Menu

কলেজছাত্রী মুনিয়া হত্যা, আনভীরের গ্রেপ্তারের দাবিতে কর্মসূচি

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থ এই হত্যামামলায় অভিযুক্ত বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজধানীতে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির সামনে জাস্টিস ফর মুনিয়া নামে সংগঠনের ব্যানারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

জাস্টিস ফর মুনিয়া সংগঠনের আহবায়ক ড. সায়দিয়া গুলরুখ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মুনিয়া হত্যা ও তদন্ত সংক্রান্ত ঘটনাবলী আমরা শুরু থেকেই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। এখানে উল্লেখ্য যে গত বছর ২৬ এপ্রিল বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের প্রেমিকা কলেজ শিক্ষার্থী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ আনভীরের ভাড়া করা বনানীর ফ্ল্যাটে পাওয়া যায়। গুলশান থানা পুলিশ ফ্ল্যাটের দেয়ালে টাঙানো আনভীরের সঙ্গে মুনিয়ার অসংখ্য ছবি, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে লেখা মুনিয়ার ছয়টি ডায়েরি এবং ওর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে জব্দ করে। পরবর্তীতে ফরেনসিক প্রতিবেদন নিশ্চিত করে যে মুনিয়া তিন-থেকে চার সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

প্রকাশিত সংবাদ মারফৎ আমরা জানতে পারি যে গুলশান থানা পুলিশ সিসি টিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে মুনিয়ার বাসায় আনভীরের যাতায়াতের ব্যাপার নিশ্চিত হয়। কিন্তু এত আলামতের উপস্থিতি সত্বেও পুলিশ আনভীরকে গ্রেপ্তার এবং জিজ্ঞাসাবাদ না করে ১৯ জুলাই মুনিয়ার মৃত্যুর সঙ্গে আনভীরের কোনো ‘সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি’ জানিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আনভীরকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি এ নিয়ে আদালতও কোনো প্রশ্ন করেনি। বরং আদালত মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়ার পুলিশের প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থাকে খারিজ করে এবং আনভীরকে মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দান করে।

নুসরাত বাদী হয়ে মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে আনভীরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন । আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে এক বছর হতে চলল কিন্তু পিবিআই এখনো আনভীরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। উপরন্তু, পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ গত ১১ সেপ্টেম্বর ১৮তম বারের মতন পেছানো হয়।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে অভিযুক্তের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

Share





Related News

Comments are Closed