Main Menu

বুলবুল হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা ও নিহতের মোবাইল উদ্ধার

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমেদ (২২) খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসাথে তার মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

বুলবুল হত্যার ঘটনায় আটক কা্মরুল ইসলামের (৩০) বাড়ি থেকে বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে এই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ওই বাড়ি থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়। এই ছুরি দিয়েই বুলবুলকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।

কামরুল ইসলাম শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের টিলারগাঁওয়ের গোলাপ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি বলে জানা গেছে। বুলবুল আহমদ হত্যার রাতেই কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। বুধবার সকালে তাকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় মোট ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি বলেন, ‘খুনে ব্যবহৃত ছোরা ও বুলবুলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এদিকে, বুধবার সকালে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, বুলবুল খুনের ঘটনায় গত সোমবার রাতে ও গতকাল মঙ্গলবার সকালে সন্দেহভাজন তিন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছিল। তন্মধ্যে একজন খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আরও দুজন জড়িত থাকার তথ্য দেন। পরে ওই দুজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে বুলবুলের মুঠোফোন উদ্ধার ও খুনে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধারের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে, পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন কামরুল। এরপরই তাকে নিয়ে অভিযানে যাওয়া হয়। হত্যায় তিনজন ছিলেন বলেও কামরুল জানিয়েছেন বলে জানান ওই পুলিশ সদস্য।

কামরুলসহ তিনজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে তোলা হতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এরআগে গত সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গাজী-কালুর টিলার পাশে (নিউজিল্যান্ড এলাকায়) ছুরিকাঘাত করা হয় শাবির লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে (২২)। তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বুলবুলের বাড়ি নরসিংদী সদরের নন্দীপাড়া গ্রামে। তিনি শাবির শাহপরান হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

এ ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বন্ধুদের নিয়ে টিলায় বেড়াতে গিয়ে দুষ্কৃতকারীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে বুলবুল নিহত হন। বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণে বুলবুল মারা যান বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Share





Related News

Comments are Closed