বিশ্বনাথে দোকানের ভিতরে তরুণীকে গণধর্ষণ

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামে ১৮ বছরের এক পিতৃহারা তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১ জুলাই রাতে ওই গ্রামের আমির আলীর দোকানে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার ১২দিন পর গতকাল সোমবার বিশ্বনাথ থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং দু’জনকে অজ্ঞাত আসামী রেখে মামলা (নং-১১) দায়ের করেছে ভিকটিম তরুণী।
আসামীরা হলো ইসবপুর গ্রামের মন্নান মিয়ার পুত্র আনোয়ার মিয়া (৪০), রিয়াছদ আলীর পুত্র সুজন মিয়া (৩০) ও মৃত ফজর আলীর পুত্র শায়েস্তাবুর মিয়া (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাচা শাসন করায় তার উপর রাগ করে ঘটনার দিন দুপুরে পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলায় ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার জন্যে ঘর থেকে বের হয় ভিকটিম তরুণী। এসময় সঙ্গ নেয় তার ছোট ভাই জামিল। যাওয়ার পথে গ্রামের আমির আলীর দোকানে ভাড়ায় থাকা মুদি দোকানদার আনোয়ার মিয়া তাদের গন্তব্য কোথায় জানতে চাইলে তরুণী ছাতকে ফুফুর বাড়িতে যাচ্ছে বলে জানায়। আনোয়ার মিয়াও ওই পথে গোবিন্দগঞ্জ যাবে বলে তরুণীকে দোকানে বসিয়ে রেখে মুঠোফোনে ডেকে আনে সুজন মিয়া ও অটোরিকশা চালক শায়েস্তাবুর মিয়াকে। তারা তিনজন মিলে তরুণী ও তার ভাইকে নিয়ে জাউয়া বাজার দক্ষিণপাড়া তরুণীর নানাবাড়িতে গিয়ে তার ছোটভাই জামিলকে নামিয়ে দিয়ে তাকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাত ৮টার দিকে ইসবপুরে আনোয়ারের দোকানে ফিরে আসে। পরে দোকানের ভেতর আনোয়ার, সুজন ও শায়েস্তাবুর সারারাত তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তাদের পাশবিকতায় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন বিকেলে তাকে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে ফেলে আসে অভিযুক্তরা। আসার সময় তারা ঘটনাটি কাউকে জানালে বা মামলা করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। খবর পেয়ে তরুণীর চাচাতো ভাই রাহেল তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। রাহেলের বাড়িতে একরাত থাকার পর ভয়ে-লজ্জায় ছাতকের বেতকোনা গ্রামে ফুফুর বাড়িতে আত্মগোপনে চলে যায় তরুণী।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রাম ও এলাকার অনেকে জানান, গণধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শুরু থেকেই তৎপর হয়ে উঠে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। তরুণী ও তার পরিবারের লোকজন রহস্যজনক আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে বিশ্বনাথের কয়েকজন সংবাদকর্মী অনুসন্ধানে নামলে প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে, ঘটনার বারোদিন পর তরুণী নিজেই থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, গতকালই ভিকটিম তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অধিক তৎপর রয়েছে পুলিশ।
Related News

সিলেটে দুর্ঘটনাস্থলে কাফনের কাপড় পড়ে অবরোধ, ৫ দাবি
বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলে পাঁচRead More

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮
বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের রশিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮Read More
Comments are Closed