Main Menu

যশোর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় যশোর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নিদের্শনা না দেয়া পর্যন্ত এ লকডাউন জারি থাকবে।

এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হওয়ায় ওয়ার্ডটি জীবাণুমুক্ত করতে তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই ওয়ার্ডের ৭ জন রোগী এবং চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতালের সাড়ে ৩শ’ কর্মীর নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, আজকে পর্যন্ত জেলায় ৩০ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন চিকিৎসকসহ ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে দুইজনকে টিবি হাসপাতালে ও অপর একজনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে রোববার (২৬ এপ্রিল) ১২টার দিকে যশোর সার্কিট হাউজে জরুরি সভা করেছে জেলা পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি। ওই সভায় উপস্থিত যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলিপ কুমার রায় জানান, আলোচনার ভিত্তিতে যশোর জেলাকে লকডাউন করার নেয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারে সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ বলেন, যশোর জেলাকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামীকাল সকাল সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নিদের্শনা না দেয়া পর্যন্ত এ লকডাউন জারি থাকবে। লকডাউন চলাকালে যশোর জেলার সঙ্গে পাশ্ববর্তী জেলার সকল সীমান্ত এবং আন্তঃউপজেলা সীমান্তগুলোতে যানবাহন এবং মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে কেউ ঢুকতে ও বের হতে পারবেন না। তবে, জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত যানবাহন, যেমন রোগীবাহী গাড়ি, ওষুধ ও পণ্যবাহী গাড়ি, কৃষিপণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহনের নিয়োজিত গাড়ি চলাচল এর আওতার বাইরে থাকবে।

এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হওয়ায় ওয়ার্ডটি জীবাণুমুক্ত করতে তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসাথে ওই ওয়ার্ডের ৭জন রোগী এবং চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতালের সাড়ে ৩শ’ কর্মীর নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলিপ কুমার রায় জানান, হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন একজন রোগী করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ কারণে ওই রোগীকে করোনার চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত টিবি হাসপাতালে পাঠানোর পর অন্য রোগীদের সরিয়ে নেয়া হয়। সেইসাথে মেডিসিন ওয়ার্ডটি তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ওয়ার্ডটি জীবানুমুক্ত করা হবে। একইসাথে ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক, নার্স এবং পাশের ৭টি বেডের রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্সসহ সকল স্টাফ করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের কেউ ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করানো হবে।

Share





Related News

Comments are Closed