Main Menu

যেখানে বদলি সেখানেই বিয়ে, বন কর্মকর্তার ১৭ স্ত্রী

Manual4 Ad Code

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: নারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একের পর এক বিয়ে। এরপর নানা অজুহাতে নির্যাতন করে সম্পর্ক ছাড়াছাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে।

Manual1 Ad Code

শুধু প্রতারণা করে বিয়েই নয়, তার বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও। এসব ঘটনায় বন কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

Manual3 Ad Code

গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বরিশালের কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ভুক্তভোগী পরিবার ও সুশীল সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

অভিযুক্ত বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার বাসিন্দা। আগে ঢাকা, খুলনা, বাকেরগহাট, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি অন্তত ১৬টি বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

ভুক্তভোগী নারীদের অভিযোগ, কবির হোসেন বিদেশে পড়াশোনা করানো, সরকারি চাকরি দেওয়া, বিমানবালা হওয়ার সুযোগ বা সম্পত্তির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই যৌতুক দাবি ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে একে একে সংসার ভাঙেন। এভাবে ঢাকার নাজনিন আক্তার শীলা, নারায়ণগঞ্জের সোনিয়া, খুলনার নাসরিন আক্তার দোলনসহ অন্তত ১৬ জন নারী তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

Manual7 Ad Code

সবশেষ চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনার চাকরিজীবী খাদিজা আক্তারকে বিয়ে করেন বন কর্মকর্তা কবির হোসেন। বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই স্ত্রীর বাবার বাড়ির অংশ লিখে দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। রাজি না হওয়ায় খাদিজাকে বরিশালের সরকারি বাসভবন থেকে বের করে দেন কবির।

খাদিজা অভিযোগ করে বলেন, আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। বাবার বাড়ির সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় নির্যাতন করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।

Manual7 Ad Code

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগী নারীরা অভিযোগ করেন, থানা, আদালতে এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো বিচার পাননি তারা। একবার দাপ্তরিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেও প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় কবির হোসেন আইনের ফাঁকফোকরে দ্রুত জামিন পেয়ে যান।

এদিকে বৃহস্পতিবার দিনভর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করেছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। এ সময় বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ভুক্তভোগী নারীদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। তবে এ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দিতে রাজি হননি তদন্ত কর্মকর্তা।

এ ছাড়া এ বিষয়ে অভিযুক্ত বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটওয়ারীও বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তার আইনজীবী এনায়েত হোসেন বাচ্চু বলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই।

Share





Related News

Comments are Closed

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code