প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে যুবককে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মালিকের বাড়ি থেকে এক গৃহকর্মী যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনের দাবি হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
গত ৬ জুন দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। স্বজনদের দাবি মালিকের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ওই যুবককে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহত গোলাম হাসান (২৩) একই জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার টাইলা গ্রামের আব্দুল কাহারের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গোলাম হাসান দিরাই উপজেলার জারলিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তাফার বাড়ীতে চাকুরীর সুবাধে অবস্থান করতেন। এক পর্যায়ে গোলাম মোস্তফার পরিবারের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মায়ায় পরে আর মা-বাবার বাড়ীতে ফিরেনি গোলাম হাসান।
গোলাম মোস্তফার মেয়ের সাথে ছিল গোলাম হাসানের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। এরই জের ধরে ঝড়ে যায় গোলাম হাসানের প্রাণ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গোলাম মোস্তফার মেয়ের প্রেমে আশক্ত ছিল গোলাম হাসান।
মেয়ের মায়ার জ্বালে পড়ে গোলাম হাসান সব কিছু ছেড়ে অবস্থান নেন তাদের বাড়ীতে। প্রায় ছয় বছর যাবত বিনা বেতনে প্রেমের টানে তাদের পরিবারের হালও ধরেছিলেন গোলাম হাসান। কিন্তু এই প্রেম যে তার প্রাণ কেড়ে নিবে গোলাম হাসান কখনও হয়তো ভাবেনি।
গোলাম হাসানের রহস্যময় আত্মহত্যা নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। কেউ বলেছেন হত্যা আর কেউ বলেছেন আত্মহত্যা। এলাকার অনেকেইর ধারণা যে পরিকল্পিত ভাবে গোলাম হাসানকে হত্যা করা হয়েছে।
আবার গোলাম মোস্তফার পরিবারের দাবী গোলাম হাসান আত্মহত্যা করেছেন।
টংগর গ্রামের প্রবীন মুরুব্বী আব্দুল হামিদ জানান, আমার নাতি গোলাম হাসানকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার জীবনে অনেক আত্মহত্যার লাশ দেখেছি। গোলাম হাসানের লাশ দেখে যে কেউ বুঝতে পারবে যে গোলাম হাসানকে মেরে ফেলা হয়েছে।
আমি নিজ চোখে গলায় ওড়না প্যাচানো দেখে বুঝতে পেরেছি যে তাকে রাতের আধারে মেরে লোক দেখানোর জন্য ফাস লাগিয়ে এই নাটক করা হয়েছে।
নিহত গোলাম হাসানের ভাই আব্দাল হোসেন জানান, আমার ভাই আত্মহত্যা করার মত লোক নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
গোলাম মোস্তফার ভাতিজা ও তার মেয়ের জামাইয়ের সাথে ছিল আমার ভাইয়ের বিরোধ। তারা আমার ভাইকে অনেক বার লাঞ্চিতও করেছে। আমরা খোজ নিয়ে জানতে পেরেছি, গোলাম মুস্তফার মাদকাসক্ত মেয়ের জামাই ও ভাতিজা মিলে রাতের আধারে আমার ভাইকে মেরে সকালে ফাস লাগানোর নাটক সাজিয়েছেন। আমি আমার ভাইয়ের লাশ নিজ চোখে দেখেছি যে এটা ফাস নয় পরকল্পিত হত্যা।
আমরা গরীব মানুষ আমরা আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
এব্যাপারে দিরাই থানা’র ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লাশ উদ্বার করে আমার ময়না তদন্তে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসার পর তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।
উল্লেখ্য গত ৬ জুন শুক্রবার দুপুর ১২ টায় গোলাম হাসানের লাশ জারলিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার বসত ঘর থেকে উদ্বার করে দিরাই থানা পুলিশ।
Related News

জগন্নাথপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধের মৃত্যু
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. আব্দুল কসুরRead More

ভাড়া দিতে দেরি, পরিবারকে ঘরবন্দী করলেন বাড়ির মালিক
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জ পৌর শহরের রায়পাড়ায় ভাড়া পরিশোধ করতে তিন দিন দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীসহRead More
Comments are Closed