Main Menu

সিলেটে শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে সিলেটের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৭ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ জামাতে ছিল মুসল্লিদের ঢল। নামাজের সময়ের অনেক আগে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো ঈদগাহ ময়দান।

ঈদের জামাতে ইমামতি করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি জুনায়েদ আহমদ। খুতবা প্রদান করেন মাওলানা মুশতাক আহমদ খান।

কোরবানির মহৎ আদর্শ তুলে ধরে তাঁরা মুসলিম উম্মাহর সংহতি, ভ্রাতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তি কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন।

শাহী ঈদগাহ ছাড়াও সিলেট নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার মসজিদেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণে। জেলা ও মহানগর পুলিশের তথ্যমতে, নগরীর ৩৯০টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ১৪২টি হয়েছে খোলা মাঠে এবং ২৪৮টি মসজিদে। পুরো সিলেট জেলাজুড়ে মোট ২ হাজার ৫৫১টি জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল সর্বোচ্চ সতর্কতা। শাহী ঈদগাহ এলাকা ছিল চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা। মোতায়েন ছিল সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মোবাইল টিম, ট্রাফিক পুলিশ, ড্রোন নজরদারি ও রুফটপ ইউনিট। অন্যান্য এলাকাতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় ছিল সার্বক্ষণিক।

নগরবাসী, প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ধর্মীয় এই মহোৎসবকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও বিশ্বশান্তির অনন্য বার্তা।

এদিকে ঈদের নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নগরীর পাড়া-মহল্লায় শুরু হয়েছে পশু কোরবানি।

নগরীর কুমারপাড়া, সাগরদিঘীরপাড়, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ঈদের জামাতের পর পরই শুরু হয় কোরবানি। বাসা বাড়ির সামনে ও গ্যারেজে কিংবা ফাঁকা জায়গায় গরু, ছাগল ও মহিষ জবাই করা হচ্ছে। অন্যদিকে চলছে মাংস কাটা, বণ্টন ও পরিচ্ছন্নতার কাজ। বাড়ির বৃদ্ধ থেকে শিশু সবার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে অন্যরকম আনন্দ।

সাগরদিঘীর পাড়ের বাসিন্দা মো.শফিক ইসলাম বলেন, আল্লাহকে খুশি করতে, তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ছাগল জবাই হয়ে গেছে। মাংস যাই হবে ধর্মীয় বিধান মেনে বন্টন করে দেবো। কবুল করার মালিক আল্লাহ।

মদিনা মার্কেটের বাসিন্দা নাজিম উদ্দীন বলেন, গরু কিনেছি দুইদিন আগে। বাড়ির শিশুরাও গরুটি দেখভাল করেছে। আজ ঈদের নামাজ আদায় করে গরু জবাই দিলাম। অল্লাহকে সন্তুষ্ট করাই মূল উদ্দেশ্যে।

এদিকে, কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। ইতোমধ্যে মাঠে নামানো হয়েছে পরিচ্ছন্নকর্মী।

জানা গেছে, ঈদের দিন বিকেল থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবে সিলেট সিটি করপোরেশন।

১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্জ্য, পরিবহন ও যান্ত্রিক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

 

Share





Related News

Comments are Closed