Main Menu

মহালয়ায় শুরু দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: শুভ মহালয়া আজ বুধবার। মহালয়া তিথিতে নানা আনুষ্ঠানিকতায় শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।

সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন হয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। আশ্বিন মাসের এই শুক্লপক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের শুরু হয় যে অমাবস্যায়, সেদিন হয় মহালয়া।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মহালয়ার প্রাক সন্ধ্যায় কাত্যায়নী মুনির কন্যারূপে মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে।

সিলেটসহ সারাদেশের মন্দিরে-মণ্ডপে বুধবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে মহালয়ার আচার। ঘট স্থাপন ও পূজার মধ্য দিয়ে ‘দুর্গতিনাশিনী’ দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে নেমে আসার আবাহন জানাচ্ছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

রাীতি অনুযায়ী, মহালয়ায় প্রথমে চণ্ডীপাঠ করে দেবীকে আহ্বান জানানো হয়। এ সময় মঙ্গলঘট স্থাপন করে তাতে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে করা হয় পূজা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ত্রেতাযুগে ভগবান রাম তার স্ত্রী সীতাকে উদ্ধার করতে দেবী দুর্গার অকালবোধন করেন। ব্রহ্মার নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গার সাহায্যে রাবণ বধ করে সীতাকে উদ্ধার করেন তিনি। দেবীর সেই আগমনের সময়ই ‘দুর্গোৎসব’। রাম শরৎকালে দেবীকে আহ্বান করেছিলেন বলে, এ পূজা ‘শারদীয় দুর্গা’ পূজা নামেও পরিচিত। আর মর্তলোকে আসতে দেবীর সেই ঘুম ভাঙানোকে বলা হয় অকাল বোধন।

এবার দুর্গোৎসব শুরু হবে ৯ অক্টোবর। শাস্ত্রমতে দিনটি বৃহস্পতিবার বলে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আসবেন আগমন দোলা বা পালকিতে। আগামী ১৩ অক্টোবর রোববার পড়েছে বিজয়া দশমী। মা দুর্গা পুত্র-কন্যা নিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন গজ বা হাতির পিঠে আসীন হয়ে। ধর্মমতে দুর্গা যদি পালকিতে করে আসেন, তাহলে ফল হবে ‘দোলায়াং মকরং ভবেৎ’ অর্থাৎ মহামারি, ভূমিকম্প, খরা, যুদ্ধ ও অতিমৃত্যু। যাতে বিপুল প্রাণহানি অনিবার্য। মহাদশমী তিথি রবিবার। তাই দেবী দুর্গা কৈলাসে ফিরবেন গজ বা হাতিতে।

হিন্দু শাস্ত্রমতে, দেবীর আগমন বা গমন হাতিতে হলে মর্ত্যলোক ভরে ওঠে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে। পূর্ণ হয় ভক্তদের মনোবাঞ্ছা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এবার দেশজুড়ে ৩২ হাজার ৬৬৬ মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন হবে। এ ছাড়া ঢাকার দুই সিটিতে ২০৫টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে। পূজা উপলক্ষে দেশজুড়ে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা কঠোর থাকবে।

Share





Related News

Comments are Closed