আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১৫০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ইউরোপে পাড়ি জমাতে সম্প্রতি এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাছ ধরার একটি কাঠের নৌকাতে তিন শতাধিক যাত্রী আরোহী হয়েছিলেন। প্রায়ই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে সমুদ্র পথে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেন দেশটির লোকজন। গত সোমবার (২২ জুলাই) গাম্বিয়া থেকে এক হাজার ৩৫০ কিলোমিটার দূরে ওই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। যাতে নৌকাটিতে থাকা অর্ধেকের বেশি যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা। তারা তাদের এক এক্সের বার্তায় লিখেছেন, গত সোমবার নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং ওই নৌকাতে থাকা ১৯৫ জনের বেশি আরোহী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে নৌকাডুবির সর্বশেষ ঘটনা এটি। উন্নত জীবন যাপনের আশায় প্রায়শই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। তবে তাদের বেশির ভাগই সমুদ্রের প্রবল স্রোতে নৌকা উল্টে প্রাণ হারান। আফ্রিকার দেশগুলোতে ক্রমাগত অর্থনৈতিক নাজুক পরিস্থিতির ফলে বাসিন্দারা অবৈধ উপায়ে দেশ ত্যাগের চেষ্টা করেন।

বেশ কয়েকদিন যাবৎ সমুদ্র উত্তাল থাকার পর মৌরিতানিয়ার কোস্ট গার্ড উপকূল থেকে গত কয়েকদিনে ১২০ জনের অধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে বলে তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা। এসব উদ্ধার কার্যের মধ্যেই নতুন করে নিখোঁজের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তারা বলছে দেশটিতে সর্বশেষ নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুও রয়েছে।

অবৈধভাবে ইউরোপ যেতে প্রতি বছর আফ্রিকার দেশগুলো থেকে লাখ লাখ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে। তবে তাদের বেশির ভাগই অনুপযুক্ত ছোট ছোট মাছ ধরার নৌকায় আরোহী হন। যেগুলো ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে একদমই অক্ষম। আর এতে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান বা নিখোঁজ হন।