Main Menu

টেকসই কৃষি ও বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষায় মাটি ও পানির সমন্বিত ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য মাটি ও পানির গুরুত্ব অপরিসীম। টেকসই কৃষি ও বাস্তুতন্ত্র (ইকো-সিস্টেম) সুরক্ষার জন্য এ সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। আমাদের খাদ্যের শতকরা ৯৫ ভাগ উৎপাদিত হয় ভূমিতে, যেখানে মাটি ও পানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
‘মাটি ও পানি: জীবনের উৎস’ প্রতিপাদ্যে ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে সিলেটে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেটের বিভাগীয় গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. এনায়েৎ উল্লাহ্’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সিলেটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, বিএডিসি সিলেটের যুগ্ম পরিচালক সুপ্রিয় পাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) তামান্না নাহার, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান মিয়া।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বে দিনটিকে মাটির স্বাস্থ্য এবং এর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিজ্ঞানী, ছাত্র, কৃষকদেরকে অবহিত ও অনুপ্রাণিত করার জন্য পালন করা হয়। দিবসটিতে প্রতি বছর আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য ব্যবহার করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য সুস্থ মাটির গুরুত্বের উপর সংশ্লিষ্ট সবার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা এবং মৃত্তিকা সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার প্রচারের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব সরকার দিবসটিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে পালন করতে সয়েল কেয়ার পুরস্কার ও বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার প্রদান এবং সয়েল অলিম্পিয়াডের আয়েজন করে।

আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, টেকসই এবং ঘাতসহিষ্ণু কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা অর্জনে মৃত্তিকা ও পানির সম্পর্ক জানতে হবে। পরিবর্তনশীল পরিবেশে মৃত্তিকা ও পানি সম্পদের গবেষণার অগ্রাধিকার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করে পানির দুষ্প্রাপ্যতা বা খরা এবং মৃত্তিকা অবক্ষয় রোধের জন্য টেকসই ব্যবস্থাপনার প্রসার করা দরকার। অনুষ্ঠানে বক্তারা মৃত্তিকা দূষণ কমিয়ে আনতে সমন্বিতভাবে কাজ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেটের বিভাগীয় গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. এনায়েৎ উল্লাহ্। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের উপর একটা প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Share





Related News

Comments are Closed