Main Menu

জৈন্তাপুরে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা দখলের অভিযোগ

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি : সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ নম্বর ফতেপুর ইউপির চাঁন্দঘাট গ্রামের শিকারখাঁ টু সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড এর ৫নং কুপ এবং চাঁন্দঘাট স্কুল হতে শাহ আহমদ আলী মাজারের রাস্তা এবং সরকারী খাঁস জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও জনসাধারনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।

অভিযোগ সূত্রে এবং সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ১৯৬২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চান্দঘাট গ্রামের ও আশপাশের গ্রামের জনসাধারণ “শিকারখাঁ টু সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ৫নং কুপ রাস্তা” এবং “চাঁন্দঘাট স্কুল হতে শাহ আহমদ আলী মাজারের রাস্তা” দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিনা বাঁধায় যাতায়াত করে আসছে গ্রামবাসী। ২০১৮ সাল হতে চাঁন্দঘাট গ্রামের মৃত মুছা মিয়ার ছেলে মইন উদ্দিন, শামসুর উদ্দিন, মজিদ আলীর ছেলে মাস্টার মুছা মিয়া, হজু মিয়া, মৃত আমই মিয়া ছেলে সাহাব উদ্দিন, মেনাফর আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম টিলা কেটে ফসলী জমি ভরাট করে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তা দখলে নিয়ে যায় এবং বর্তমানে পাহাড় কর্তন করে মাটি ভরাটের মাধ্যমে রাস্তা দখল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

দখল কার্যক্রমের করনে “শিকারখাঁ টু সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ৫নং কুপ রাস্তা” বিলীন হয়ে গেছে এবং “চাঁন্দঘাট স্কুল হতে শাহ আহমদ আলী মাজারের রাস্তা” চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বিগত ১ নভেম্বর ২০২০ সনে এলাকাবাসী লিখিত আবেদন জানান। বিগত ১০ আগষ্ট ২০২১ সালে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. শওকত আলম কাদরী জনসাধারণের চলাচলের জন্য তাদের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে অবৈধ ভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার জৈন্তাপুর বরাবরে আবেদন করেন।

এলাকাবাসী ও গ্যাস ফিন্ড কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিগত ২৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখের ১৪৭৩ নং ডকেটের আদেশে বিগত ১৮ আগষ্ট ২০২১ সনে ৮১নং স্বারকে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত হরিপুর ইউনিয়ন (ভূমি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুকন আহমদ সরেজমিন পরিদর্শন প্রতিবেদন সহকারি কমিশনার (ভূমি) জৈন্তাপুরে প্রেরণ করেন। প্রতিবেদনে একসাথে দুইজন ব্যক্তি চলাচল করা যাবে না এবং সরকারি খাঁস ভূমি দখল করা হয়েছে উল্লেখ করে জনসাধারনের চলাচলের উপযোগী করার জন্য প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।

পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন একাধিক বার “শিকারখাঁ টু সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ৫নং কুপ রাস্তা” এবং “চাঁন্দঘাট স্কুল হতে শাহ আহমদ আলী মাজারের রাস্তা” চলাচলের জন্য অবৈধ স্থাপনা অপসারনের নৌটিশ জারী করা হলেও দখলকারীরা দখল এবং স্থাপনা অপসারণ করেনি।

এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান, এক সময় ৫নং কুপ হতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পর্যন্ত গ্যাস কুপের কাজে নিয়োজিত বড় বড় লরী আসা যাওয়া করেছে। রাস্তার ব্যাস ছিল ৫০ থেকে ৬০ ফুট। সম্প্রতি রাস্তার একটি অংশ দখল হয়ে গেছে রাস্তা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং কিছু অংশ জমির আইলে পরিনত হয়েছে। যার কারনে ৫নং কুপটিতে যাতায়াতের কোন রাস্তা অবশিষ্ট নেই। চাঁন্দঘাট স্কুল হতে শাহ আহমদ আলী মাজারের রাস্তাটি ধরে বর্তমানে ২জন মানুষ একসাথে যাতায়াত করতে পারবে না।

তারা আরও বলেন, জরুরী রোগী, কিংবা বাড়িতে যাতায়াত, পণ্য পরিবহন, সিএনজি-রিক্সা চলাচল, সামাজিক অনুষ্ঠান গুলোতে জনসাধারণ রাস্তাটি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে গত ৬ মে শনিবার দুপুরে দখলকারীরা তাদের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ এবং রাস্তা দখল ত্যাগ করেছে কিনা দেখতে সরেজমিন পরিদর্শন করেন উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার আব্দুর রাকিব। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ভূমি অফিসের নির্দেশনায় আমি বর্তমান পরিস্থিতি কি অবস্থায় আছে দেখার জন্য এসেছি। দখলকারীরা কৌশলে রাস্তা ও সরকারী খাঁস ভূমি দখলে রেখেছে। তারা দখল ত্যাগ করেনি মর্মে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।

 

Share





Related News

Comments are Closed