Main Menu

সিলেটে ৩৭ লাখ মানুষ পাচ্ছে ওএমএসের চাল

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সারা দেশের মতো সিলেটেও খোলা বাজারে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ৩ মাসে বিভাগের ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার উপকারভোগী পাবে এ চাল। সংশ্লিষ্টরা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টম্বর) সকাল ৯টায় সিলেট নগরের ক্বীনব্রিজ সংলগ্ন সুরমার তীরে খোলা বাজারে চাল বিক্রির উদ্বোধন করেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত, সিলেট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, নয়ন জ্যাতি চাকমা, সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সাদিয়া বিনতে সোলায়মান, সিলেট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অঞ্জন কুমার দাস, সিলেট এএসবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় মৈত্রী, সিলেট খাদিমনগরের এএসবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারগরি) বিপ্লব কুমার দাস, খাদ্য পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, খাদ্য পরিদর্শক মিজানুর রহমান।

পাবলিক ফুড ফর ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিএফডিএস) এর আওতায় খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবির কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ওএমএস কার্যক্রমে চাল বিক্রির সময় ক্রেতাদের ২টি লাইনে পৃথক করা হবে। একটি লাইনে সাধারণ ও অন্য লাইনে টিসিবির কার্ডধারীদের চিহ্নিত করা হবে। টিসিবির কার্ডধারীরা মাসে দুইবার ৫ কেজি করে মোট ১০ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য মতে, বিভাগে ১৪০টি স্থানে ডিলাররা ওএমএসের চাল বিক্রি করবেন। এরমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ১২ জন ডিলার ও ৭টি ট্রাকে করে খোলাবাজারে চাল বিক্রি করা হবে। জেলা সদরগুলোতে ২৩টি স্থানে, পৌরসভাগুলোতে ৬০টি স্থানে এবং উপজেলাগুলোতে ৩৮টি স্থানে খোলাবাজারে চাল বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ২৮০ মেট্রিক টন এবং আটা ৬ মেট্রিক টন করে। সিসিক এলাকায় প্রতিদিন ডিলার পয়েন্টগুলোতে ২ মেট্রিক টন চাল ও ৫০০ কেজি আটা এবং ট্রাক প্রতি ২ মেট্রিকটন চাল দেওয়া হবে। জেলা ও উপজেলাগুলোতে দৈনিক প্রতিজন ডিলার ২ মেট্রিক টন করে চাল বিক্রয় করবেন। ভোক্তারা প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা এবং আটা ১৮ টাকা কেজি দরে কিনতে পারবেন। শুক্র ও শনিবার বাদে সপ্তাহের বাকি ৫ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সিলেট সিটি করপোরেশনসহ ১৩টি উপজেলায় ১০৫টি ইউনিয়নের জন্য মোট ১১৩ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। মৌলভীবাজারে জেলা সদরসহ ৭ উপজেলায় ৬৭ ইউনিয়নের জন্য ১২০ জন ডিলার, হবিগঞ্জ সদরসহ ৯ উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়নের জন্য ১৫৬ জন ডিলার, সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার ৮৮টি ইউনিয়নের জন্য ১৮২ জন ডিলার খোলাবাজারে ওএমএসের চাল বিক্রি করবেন। ওএমএসের চাল পাবে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮টি উপকারভোগী পরিবার। ডিজিটাল ডাটাবেজে আরো ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩৭২টি পরিবার এবং অবশিষ্ট ৮৩ হাজার ৬৩৬টি পরিবার রয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়।

সিলেট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নয়ন জ্যোতি চাকমা বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রাত্যহিক ১২ জন ডিলার বিক্রির জন্য ২ টন করে ২৪ মেট্টিকটন চাল পাবেন। সেই সঙ্গে ৭টি ট্রাকে ২টন করে ১৪ টন চাল বিক্রির জন্য দেওয়া হবে। এছাড়া সিলেটের বড় দু’টি পৌরসভা বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে ৪ জন করে ডিলার ৮ মেট্টিকটন চাল বিক্রি করবেন। অধিকন্তু ছোট পৌরসভা বিশ্বনাথ, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাটে ৩ জন করে ডিলার ২টন করে ওএমএসের চাল বিক্রি করবেন। এর বাইরে উপজেলাগুলোতে দুইজন করে ডিলার ২ মেট্টিক টন করে চাল বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে পুরো বিভাগে আগামী ৩ মাস ওএমএস কার্যক্রম চলবে।

তিনি বলেন, এছাড়া অন্য ৩টি জেলা সদর ব্যাতিরেকে বিভাগের ৩০টি পৌর ও উপজেলায় ২ জন করে ডিলারের মাধ্যমে ২টন করে ওএমএস’র চাল বিক্রি হবে। আগামী ৩ মাসে ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার উপকারভোগীর মধ্যে এক কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিকটন চাল এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮টি পরিবারে ২২ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল বিক্রয় করা হবে।

Share





Related News

Comments are Closed