Main Menu

৭০ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইতালির সরকার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে বুধবার (১২ জানুয়ারি) আবেদন ফরম প্রকাশ করেছে। দেশটিতে চলতি বছর মোট ৬৯ হাজার ৭০০ শ্রমিক নেওয়া হবে।

অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইতালি প্রবেশের দ্বার উন্মোচন করল দেশটির সরকার। স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় থেকে অনেক বেশি শ্রমিক প্রবেশে অনুমতি চাওয়া হলেও, প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘীর সরকার ৬৯ হাজার ৭০০ বিদেশি শ্রমিক প্রবেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

ইতালির অর্থনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে দেশটি প্রতিবছর বিদেশ থেকে শ্রমিক প্রবেশে অনুমতি দেয়। বিভিন্ন খাতের চাহিদা মেটাতে ২০২২ সালের জন্য এসব শ্রমিক নিবে ইতালি। ইতালিতে শ্রমিক প্রবেশে বিশ্বের বহু দেশর সঙ্গে সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশও। এই খবরে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ইতালিতে শ্রমিক প্রবেশের মোট সংখ্যা ৬৯ হাজার ৭০০ হলেও বাংলাদেশসহ মোট ৩২টি দেশের নাগরিকদের জন্য কোটা বণ্টন হবে ৫৯ হাজার শ্রমিকের মধ্যে। বাকি ১০ হাজার ৭০০ শ্রমিক ও স্বকর্মজীবী দেশটিতে প্রবেশ করবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে। বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ থেকে ১৭ হাজার স্থায়ী এবং ৪২ হাজার মৌসুমী বা কৃষি শ্রমিক নিয়োগ করবে ইতালি। মোট সংখ্যা ৫৯ হাজার হলেও বাংলাদেশের মোট কোটা তেমন বেশি হবে না বলে ধারণা প্রবাসীদের। কারণ মোট সংখ্যার সঙ্গে সর্বমোট দেশের সংখ্যাও বিবেচনায় নিতে হবে। তাই সকল আগ্রহীদের দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীদের সঙ্গে লেনদেন এড়িয়ে চলার প্রতি খেয়াল রাখতে আহ্বান জানান প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ব্যক্তিরা।

এদিকে যখনই ইতালি প্রবেশের সামান্য সুযোগ সৃষ্টি হয় – সামান্য সুযোগের বিপরিতে হাজার হাজার বাংলাদেশি আবেদন জমা পড়ে। এতে করে অনেকেই দালালের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। ১২ জানুয়ারি প্রকাশ হয়েছে আবেদন ফরম। আগামী ১৭ জানুয়ারি কোটাসহ চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশে হবে। এরপর ২৭ জানুয়ারি নন সিজনাল, সেই সঙ্গে ১ ফেব্রুয়ারি সিজনাল স্পন্সর ভিসার আবেদন জমা শুরু হবে এবং তা চলবে আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত।

২০২০ সালের অক্টোবর মাসে সরকার যে স্পন্সর ভিসার জন্য আবেদন গ্রহণ করেছে, সেখানে হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক ইতালিতে প্রবেশের স্বপ্ন নিয়ে আবেদন জমা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সামান্য সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসন সুবিধা লাভ করতে সক্ষম হন।
প্রতিবারই আবেদন জমা করার সময় এক শ্রেণীর মৌসুমী দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েন ৯০ শতাংশ আবেদনকারী। অথচ ইতালিতে প্রতিটি আবেদন জমা হবার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারা যায়, কোন দেশের জন্য, কোন প্রদেশে কত সময় পর্যন্ত আবেদন পত্র বিজয়ের তালিকায় প্রবেশ করবে।

ইতালির মতো উন্নত ও সভ্য দেশে বৈধভাবে প্রবেশের সুযোগ অধিকাংশ অভিবাসন প্রত্যাশীরা গ্রহণ করতে চায়। এই সুযোগে দালাল চক্র প্রতারণার সুযোগ গ্রহণ করে প্রতি বছর। সচেতনতা ও সঠিক তথ্যচিত্র সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ইতালি প্রবেসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

Share





Related News

Comments are Closed