তালতলীতে স্কুলছাত্রের আত্নহত্যা, হত্যার দাবি

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলীতে চিরকুটে মারিয়া আমার জান লিখে স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন তার পরিবার। ওই স্কুল ছাত্রের পিতা-মাতাসহ তার পরিবারবর্গ বুধবার তালতলী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, চলতি বছরের ১লা নভেম্বর উপজেলার হরিনখোলা এলাকায় মাটিতে পা ভর করা ঝুলান্ত অবস্থায় জুবায়ের হোসেন রিয়াজের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় রিয়াজের পকেটে ১টি চিরকুট পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ। চিরকুটে লেখা ছিল মা আমাকে ক্ষমা কর, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় ও মারিয়া আমার জান। এতে প্রাথমিক ভাবে রিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা পুলিশের। তবে রিয়াজ আত্মহত্যা নয় তাকে হত্যা করে বাড়ীর দরজার তেতুলগাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার আগে মামুন মাস্টারের কাছে তার আপন ভাইগ্নে মারিয়া ও রিয়াজ প্রাইভেট পরত। মারিয়া ও রিয়াজকে স্থানীয় রাখাইনদের ফানুস উৎসবে দেখে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় মারিয়া ও রিয়াজের প্রেমের অজুহাত দিয়ে মামুন মাস্টার রিয়াজকে প্রায়ই মারধর করত। তবে মারধরের বিষয় অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে বলত কোচিংয়ের টাকার জন্য মারধর করেছি। এমনকি মারিয়ার ভাই কাইউম রিয়াজকে বিভিন্ন সময় প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। তাই আমাদের দাবী পুত্র রিয়াজ আত্মহত্যা নয় তাকে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কারন, আমার ছেলে মারা যাওয়ার পরে প্রাইভেট মাস্টার ও মারিয়ার মামা এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায়। ঘটনার ২ দিন পরে ওই প্রাইভেট মাস্টার আমাদের বাড়ীতে আসে তখন তার কাছে ছেলের বই খাতা কোথায় জানতে চাইলে বলে পানিতে ভেসে গেছে। এমনি অমুলক জবাব দেয়ায় উপস্থিত এলাকাবাসীর তোপের মুখে পালিয়ে যান তিনি। এরপরে প্রাইভেটের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সাংবাদিক ও পুলিশের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেন। আমার ছেলের মৃত্যুর রহস্যের পিছনে মামুন ও মারিয়ার পরিবার জড়িত।
রিয়াজের মা মোসাঃ জেসমিন বেগম বলেন, আমার ছেলের লাশ উদ্ধারের সময় পর্যন্ত পা মাটিতে ছিল যা রহস্যময়। ঘটনার আগের দিন বিকেলে আমার ছেলে নতুন জুতা পায়ে দিয়ে পড়তে গিয়েছিল কিন্তু লাশ উদ্ধারের সময় হতে আজ পর্যন্ত তার জুতা পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার ২২দিন পার হলেও পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের দেয়নি। আমরা সঠিক তদন্তের রিপোর্ট চাই। তালতলী থানা পুলিশ ঘটনার দিন ১টি খালি সাদাকাগজের নিচের দিকে ২টি স্বাক্ষর নিয়েছে। ঘটনার প্রায় সপ্তাহখানেক পরে লিখিত একটি সাদা কাগজ দিয়েছে সে কাগজ আমার নয়। কারন, ওই কাগজের স্বাক্ষরের সাথে আমার স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। প্রশাসনের কাছে দাবী এসকল বিষয় সঠিকভাবে তদন্ত করলে রিয়াজ হত্যার আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, রিয়াজ আত্মহত্যার ময়না তদন্তের রিপোর্ট এসেছে এতে আত্মহত্যা জনিত মৃত্যু বলে ডাক্তার তার মতামত প্রদান করেছেন। কোনো ধরনের স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। তারা যে অভিযোগ করেছেন সেই ভিক্তিতে একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।
Related News

তালতলীতে ইয়াবা ব্যবসায়ী আটক
তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলীতে আল-আমিন (২২) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৪৫ পিস ইয়াবাসহ আটকRead More

ব্রিজ ভেঙে নদীতে, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিহত
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ব্রিজ ভেঙে মো. আইয়ুব আলী (৫৫) নামে একজন শিক্ষক নিহতRead More
Comments are Closed