Main Menu

বিশ্বনাথে বিকাশ প্রতারণার ফাঁদে কৃষাণী পারভিন

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : কখনো বিকাশ কর্মকর্তা, কখনো বা এনজিও কর্মী সেজে গ্রামের সহজ-সরল গ্রাহকদের বোকা বানিয়ে প্রতিনিয়ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একদল প্রতারক চক্র। তারা নানা কৌশলে লুট করছে টাকা। আর প্রতারণার শিকার হয়েও কিছুই করার থাকছেনা গ্রাহকদের।

গেল ক’দিন পূর্বে বিকাশ প্রতারণার শিকার হন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের কৃষাণী পারভিন বেগম। তিনি এনজিও প্রতিষ্ঠান ‘সূচনা’র সদস্যও। প্রতারকচক্র ০১৮ সিরিয়ালের একাধিক নাম্বার থেকে তার ব্যবহৃত ০১৭৫২৬২৪৭৮৭ নাম্বারে রাত ৮ টায় ফোন দেয়। নিজেকে ‘সূচনা’র কর্মী দাবী করে বলে, ‘হাঁস-মুরগি পালনের জন্যে পূর্বের ন্যায় বিকাশের মাধ্যমে আপনাকে কিছু টাকা দেয়া হবে। টাকা পাঠাতে আপনার বিকাশ পিন নাম্বার লাগবে’। কথা মতো পিন নাম্বার দেয়া মাত্র কৃষাণী পারভিনের বিকাশ একাউন্ট থেকে ১২শ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।

একই ভাবে গ্রামের কৃষ্ণা রাণী বৈদ্যার ০১৭০৩১৪১৫৫২৫ নাম্বারে ফোন দেয় প্রতারকরা। বিকাশ কর্মী পরিচয় দিয়ে জানায়, তার একাউন্ট সচল রাখতে তাদের কথা মতো বিভিন্ন কোড নাম্বার দিতে। এক পর্যায়ে পিন নাম্বারের সাথে ২১১ যোগ করতে বলায় তিনি যোগ করে ফলাফল জানিয়ে প্রতারণার শিকার হন।

একই কায়দায় স্থানীয় পীরের বাজারের ব্যবসায়ী ফাহিম আবরার প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে খুইয়েছেন ৫ হাজার টাকা। শুধু এ ক’জনই নয়, প্রতিদিন এভাবে শতাধিক গ্রাহক শিকার হচ্ছেন বিকাশ প্রতারণার। প্রতারকদের ব্যবহৃত নাম্বারগুলো হচ্ছে ০১৭৯৬২০৬৫৩৩, ০১৪০৩০৮৫৫৩৯, ০১৭৫৯৫৯৯৮৬১, ০১৭৫১৫৮৮২৬৫।

পারভিন বেগম জানান, ‘সূচনা’র কথা বলায় আমি সরল বিশ্বাসে পিন নাম্বার দিয়েছি। আমার প্রশ্ন আমি যে ‘সূচনা’র সদস্য এসব ওরা জানে কি করে?

কৃষ্ণা রাণী বৈদ্য জানান, প্রতারণার শিকার হয়ে বিকাশ অফিসে ফোন করণে তারা কেবল পিন পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন। এর বাহিরে কোন সহায়তা পাইনি।

এনজিও সংস্থা ‘সূচনা’র উপজেলার প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মোসাব্বির রহমান বলেন, আমি নিশ্চিত এটা স্থানীয় প্রতারক চক্রের কাজ। ‘সূচনা’র কেউ বিকাশের পিন চাওয়ার কোন সুযোগ নেই। চাইলেই তার চাকুরী চলে যাবে।

স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট তাজুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন একাধিক গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়ে আমাদের কাছে আসেন। আমাদের কিছুই করার নেই শান্তনা দেয়া ছাড়া। প্রতারকচক্রের প্রত্যেকটা সিম কারো না কারো নামেতো নিবন্ধিত। একমাত্র প্রশাসনই চেষ্ঠা করলে ওদের পাকড়াও করতে পারবে।

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ শামীম মূসা বলেন, গতকাল বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) একজন গ্রাহক বিকাশ প্রতারণার শিকার হয়ে সাধারণ ডায়েরী করেছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

Share





Related News

Comments are Closed