Main Menu

কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে আজ দুপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলোচিত হাকিম ডাকাতের দুই ভাইসহ চার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।শুক্রবার (২৬ জুন) কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গভীর পাহাড়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের আপন দুই ভাইসহ চার ডাকাত নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। আবদুল হাকিম ডাকাতকে আটক না করা পর্যন্ত পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে চারটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিমের সহযোগী ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ, ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা আছে। তারা উখিয়া ও টেকনাফের কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অজান্তে নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল।’

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘আজ দুপুরে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাত বাহিনী গভীর পাহাড়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই পাহাড়ি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত দলের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়াধীন আছে। হাকিমকে ধরতে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- বশির আহমদ, মো. হামিদ, মো. রফিক ও রইঙ্গা। এদের মধ্যে বশির ও হামিদ আলোচিত শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের আপন ভাই। অন্যরা টেকনাফের অন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শাহীন মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, ‘এখনো নিহত ডাকাতদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়নি।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের আপন দুই ভাই কবির আহমদ ও নজির আহমদ, স্ত্রী রুবি আকতার বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। আজকের অভিযানের ফলে আবদুল হাকিম ডাকাতের সহযোগী চার ভাই নিহত হওয়ায় তার শক্তি প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে।

গত দুই মাসে টেকনাফে রোহিঙ্গা সশস্ত্র ডাকাতেরা স্থানীয় সাত বাংলাদেশীকে অপহরণ করে। তার মধ্যে তিন জনকে হত্যা করে ও চার জনকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।

Share





Related News

Comments are Closed