Main Menu

ইবিতে তীর্থের কাকের মত ঘুরছে ভর্তিচ্ছুরা

শাহাব উদ্দীন ওয়াসিম, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তীর্থের কাকের মত ঘুরছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ৫ শিক্ষার্থীর আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে মাইগ্রেশনে আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি করা এবং পরে আবারও আরবি সাহিত্যের ফেরার মেসেজ এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল থেকে। এদিকে কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য আসন খালি না থাকলেও আইসিটি সেল নতুন করে আরও ৬ কলেজ শিক্ষার্থীকে আল ফিকহ বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য মেসেজ দিয়েছে।

জানা গেছে, এবছর প্রশাসনের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী ৪০ জন কলেজ পড়ুয়া ও ৪০ জন মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী ভর্তি করার কথা থাকলেও ১ম অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের পর ৪৫ জন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। অতিরিক্ত ঐ ৫ জন শিক্ষার্থী প্রথমে আরবি সাহিত্য, পরে মাইগ্রেশনে আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ পেয়ে ভর্তি হন। ভর্তির ৬ দিন পর পুনরায় ওই ৫ জনকে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি ফিরে যাওয়ার জন্য মেসেজ করা হয়।

এতে বিড়ম্বনায় পড়েছে ওই ৫ শিক্ষার্থী। তারা বলেন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আল ফিকহ বিভাগে ছিট খালি ছিল না তবে কেন ওই বিভাগে ভর্তি করানো হল? আর ভর্তির এতদিন পর আমাদের কেন জানানো হচ্ছে?

২য় অপেক্ষমান তালিকার সাক্ষাতকার শেষে ১৯ জানুয়ারি ভর্তির শেষ দিনে আরও ১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি জন্য যায়। এর মধ্যে ৯ জন মাদ্রাসা পড়ুয়া ও ৬ জন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিল বলে জানিয়েছে বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিলেও ছিট খালি না থাকায় ওই ৬ জনকে ভর্তি নেয়নি বিভাগ। এক্ষেত্রে ওই ৬ জন শিক্ষার্থী তার অবিভাবকসহ সাংবাদিকদের সাথে দেখা করেন ও তাদের ভোগান্তির কথা জানান।

অবিভাবকরা বলেন “আমরা অনেক দুর থেকে আশা নিয়ে এখানে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে নিয়ে এসেছি। এখন বিভাগ থেকে আমাদেরকে কেন ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না? আর যদি ভর্তি নেওয়া হবে না তাহলে আমাদের কেন মেসেজ করা হল? এখন আমারা আদৌ সাবজেক্ট পাব কিনা সেটা বুঝতে পারছি না।”

এদিকে দিনাজপুর থেকে সাক্ষাতকার দিতে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, “১৪ তারিখে আমাদের ভাইভা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে কোন নোটিশ পায়নি। হটাৎ করে ১৩ তারিখ রাতে এক বড় ভাইয়ের মাধম্যে জানতে পারি আগামীকাল নাকি ভাইভা হবে, আর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক তার ফেসবুক আইডি ও আইইউ এডমিশন টেস্ট গ্রুপে পোস্ট দিয়েছেন।”

অনেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ তারা সাক্ষাতকারের কোন মেসেজও পায়নি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কি ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ভর্তি পরীক্ষা টেনিক্যাল উপ কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, “আমরা আগামীকাল সোমবার বিষয়টি নিয়ে ইউনিট সমন্বয়কারী ও বিভাগের চেয়াম্যানের সাথে বসে সমাধানের চেষ্টা করবো।”

Share





Related News

Comments are Closed