Main Menu

মদনে ফসল রক্ষা বেরি বাধঁ কেটে মাছ নিধন

মো. কামরুজ্জামান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মদন উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাছকুনিয়া হাওরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফসল রক্ষার বেরি বাধঁ কেটে মাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি থেকে পানি সরে যাওয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন এলাকার কৃষকগণ। এ নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বরাবরে দুই মুক্তিযোদ্ধা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, মদন দক্ষিণ পাড়া গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি রহিছ মিয়া, আব্দুল জলিল, আব্দুল আওয়াল, শাশীম, ফজলে রাব্বি, শিহাব উদ্দিন নিজেরা লাভবান হওয়ার আশায় বেরি বাধের ভিতরে জমি মাছ ধরার জন্য একই গ্রামের সালেকের কাছে এক বছরের জন্য ৮০ হাজার টাকায় পত্তন দেয়। সালেক মাছ ধরার জন্য বেরি বাধের দু-জাগায় গর্ত করে পানি ছেড়ে জাল দিয়ে মাছ ধরায় পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে হাওরের উচু জমির পানি দ্রত সরে যাওয়ায় কৃষকগণ বোরো আবাদ নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছে। এ দিকে সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে কৃষকদের ফসল রক্ষার বাধ নির্মাণ করেন। কিন্তু এগুলো রক্ষণা-বেক্ষণ না থাকায় যার-তার ইচ্ছানুযায়ী বাধ কেটে মাছ নিধন করছে।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায় ফসল রক্ষার বেরি বাধঁ কেটে মাছ নিধন করছে মদন দক্ষিণ পাড়া গ্রামের সালেক মিয়া। এতে বেরি বাধ ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।

আশপাশের জমির কৃষক বদরুল, জামাল, কাইয়ূম জানান, সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে ফসল রক্ষার বাধঁ নির্মাণ করলেও এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজেরা লাভবান হওয়ার আশায় বেরি বাধ কেটে মাছ নিধন করে কৃষকদের ক্ষতি করছে। আমাদের গ্রামের দুই মুক্তিযোদ্ধা কৃষকদের দূরাবস্থার চিত্র তুলে ধরে কর্তৃপক্ষের বরাবরে অভিযোগ করেছেন।

ইজারাদার সালেক মিয়া জানান, বেরি বাধের ভেতরের জমির মালিকদের কাছ থেকে মাছ ধরার জন্য ১ বছরের জন্য ৮০ হাজার টাকায় পত্তন নিয়েছি। আমি বেরি বাধ গর্ত করিনি। পানির স্রোতে এমনিতেই দুই স্থানে গর্ত হয়ে যাওয়ায় মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেছি। মাছ পেলে আপনাদেরকেও দেয়া হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান শেখ মানিক জানান, সরকার হাওরাঞ্চলের কৃষকদের ফসল রক্ষার জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে ফসল রক্ষার বাধঁ তৈরী করেছে। কোনো দুষ্ট চক্র যদি বেরি বাধঁ কেটে মাছ নিধন করতে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহব্বান জানাচ্ছি।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়র বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিবারন চক্রবর্তী জানান, এ বিষয়টি উপজেলা কর্কৃপক্ষের কাছে জেনে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইউএনও মোঃ ওয়ালীউল হাসান জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share





Related News

Comments are Closed