Main Menu

কানাইঘাটে ছুরিকাঘাতে মাইক্রোচালকের মৃত্যু

কানাইঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের কানাইঘাটে পাওনা টাকার জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আব্দুল মালিক আরিফ নামের এক মাইক্রোবাস চালক ৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সিলেট ইবনেসিনা হাসপাতালে মারা গেছেন।

আব্দুল মালিককে ছুরিকাঘাতের ঘটনার মূল হুতা দেওয়ান আব্দুল বাছিত ওরফে টাইলস বাছিতকে ঘটনার দিন গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, উপজেলার সাতবাঁক ইউপির মাঝরচটি গ্রামের জামাল উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মালিক আরিফ (৪০) দিঘীরপাড় ইউপির লন্তিরমাটি গ্রামের মৃত নুরুল হকের পুত্র দেওয়ান আব্দুল বাছিত (৪৫) এর কাছে ১৫ শত টাকা পাওনা ছিলেন। গত ১৬ মে (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় সড়কের বাজারে আব্দুল মালিক আব্দুল বাছিতের নিকট তার পাওনা টাকা চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুল বাছিত ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে আব্দুল মালিককে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আশংকাজনক অবস্থায় আহত মালিককে তার স্বজনরা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ইবনেসিনা হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার (২১ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে, দেওয়ান আব্দুল বাছিতকে ঘটনার দিন স্থানীয় জনতা উত্তম মধ্যম দিয়ে আটক করে কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। ঘটনার দিন ১৬ মে রাতে এ ঘটনায় আব্দুল মালিকের ভাই আবু সোলেমান বাদী হয়ে আব্দুল বাছিতকে একমাত্র আসামী করে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই দেলোয়ার জানিয়েছেন, আহত আব্দুল মালিক মারা যাওয়ায় তার মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হবে। মালিককে যে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেই রক্তমাখা চাকুটি পুলিশ উদ্ধার করেছে। মামলার আসামী বর্তমানে সিলেট জেল হাজতে রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত আব্দুল মালিক আরিফের অবুঝ ৩টি শিশু কন্যা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হত্যাকারী দেওয়ান আব্দুল বাছিতের নামে একাধিক মামলাও ছিল। সে পূর্বে একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হয়ে এলাকায় টাইলস্ ব্যবসা সহ রাজমিস্ত্রির কাজ করতো।

Share





Related News

Comments are Closed