Main Menu

জাফলংয়ে পে-লোডারের চাপায় পাথর শ্রমিক নিহত

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পাথর কোয়ারির জুমপার এলাকায় বুধবার রাত ১১টায় পে-লোডারের চাপায় এক পাথর শ্রমিক নিহত হয়েছে।

নিহত শহিদ মন্ডল (৩০) রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার লাহালগাছি গ্রামের বাদশা মন্ডলের ছেলে।

জানা যায়, শহিদ জুমপারে হাজী হুসেন ও রুবেল মিয়ার মালিকানাধীন গর্তে পে-লোডার দিয়ে মাটি কাটছিলো। আইনের চোখ ফাকি দিয়ে রাতের আধারে মাটি কাটতে গিয়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে জুমপার এলাকায় পাথর উত্তোলনের একটি গর্ত থেকে পে-লোডার মেশিন দিয়ে চালক ইসহাক আলী ও তার সহকারী শহীদ মন্ডল মিলে বালু অপসারণের কাজ করছিলেন। এক পর্যায়ে পেলোডার চালক ইসহাক আলী তার সহকারী শহীদকে রেখে নাস্তা করতে যান। এ সময় চালকের অনুপস্থিতিতে শহীদ মন্ডল নিজেই বালু অপসারণের কাজ করতে গেলে পেলোডার মেশিনটি উল্টে গর্তের মাঝে পড়ে যায়। এতে পেলোডারের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই জুনেদ গর্তের মধ্যে থেকে নিহত শহীদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া রানা মিয়া (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে জাফলং মোহাম্মদপুর গ্রামের (গুচ্ছগ্রামের) মুফিজ আলীর পুত্র।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ পাল জানান, কোয়ারি এলাকায় হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে কিছু ব্যক্তি প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে পাথর উত্তোলন করে আসছে। আমরা এদের বিরু্েদ্ধ আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করছি। নিহতের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গর্তগুলো থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এনিয়ে সিলেটের খনিজ সম্পদে ভরপুর জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার পাথর কোয়ারিতে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হল আরেক মানব সন্তানের, আর এ মিছিল থামানোর ক্ষমতাও নেই যেন কারো। কোয়ারিগুলো এখন পরিণত হয়েছে মৃত্যুুকৃপে। সেখানে শ্রমিকের দোহাই দিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে টিলা ধসে, গর্তের পাড়ের মাটির চাপায় ও পাথর চাপায় অথবা বেপরোয়া ফেলুডারের চাকায় পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত।

নিহতদের বেশির ভাগই ভাসমান শ্রমিক। বেআইনিভাবে পাথর উত্তোলনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে এমন অভিযোগ নানা মহলের। সর্ব শেষ ৩০ জানুয়ারী বুধবার রাত ১১ টায় জাফলং পাথর কোয়ারির জুমপার এলাকায় পে-লোডার চাপায় রাজবাড়ী জেলার মালেক মন্ডলের ছেলে শহীদ মন্ডল (৩০) মারা যায়।

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত বছরের মাঝামাঝিতে বেআইনিভাবে কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরপর টাস্কফোর্সের অভিযানে ধ্বংস করা হয় অসংখ্য বোমা মেশিন।

এ অবস্থায় পাথরখেকো চক্র কিছু দিন নিরব থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে অতি মুনাফা লোভী পাথর খেকোরা। কিছুদিন পূর্বে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাফলং এলাকার মন্দির জোম নামক স্থান হতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করার দায়ে বেশ কয়েকটি গর্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের শুরু থেকে পাথর খেকো চক্রটি নানা পন্থায় বেআইনিভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করে সিলেটের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন উপজেলার কোয়ারি থেকে। এর ফলে ঝুঁকি নিয়ে পাথর তুলতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ শ্রমিকরা।

গত ৭ জানুয়ারি বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে গর্ত ধসে দুই শ্রমিক প্রাণ হারান। নিহতরা হলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোনা মিয়া (২৫) ও ওয়াজিদ আলীর ছেলে নুরুল হক (৩০)। ওই দিন রাতে একজনের ও পরদিন সকালে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ নিয়ে গত দুই বছরে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬২ জন শ্রমিক। তবে এ সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছরের ১৯ নভেম্বর দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে সাগর মিয়া (২২) নামে এক শ্রমিক মারা যান। ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রামে ধলাই নদীর তীরবর্তী পাথরের গর্তে পানির তলদেশ থেকে পাথর তুলতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। সাগর মিয়া গুচ্ছগ্রামের ডালারপার এলাকার মৃত লালচান মিয়ার ছেলে।

১১ নভেম্বর ওই উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে গর্ত ধসে প্রাণ হারান সানাই মিয়া (২৫) নামে এক শ্রমিক। তিনি নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে। এরও আগে গত ১ নভেম্বর গর্ত ধসে ফরিদ মিয়া নামে আরেক পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

৭ এপ্রিল বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রণিখাই ইউনিয়নের বিজয় পারোয়া এলাকার কুলিবতিÍ কোয়ারিতে মাটি চাপায় জবান আলী (৫০) নামে এক শ্রমিক প্রাণ হারান। নিহত জবান আলী ওই উপজেলার গাছঘর গ্রামের মৃত গফুর মিয়ার ছেলে।

গত বছরের ৩ জানুয়ারি বিকেলে গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে মন্দিরের জুম এলাকায় পাথর তোলার সময় গর্ত ধসে মাটি চাপায় একই পরিবারের তিন জনসহ পাঁচজন প্রাণ হারান। নিহতরা হলেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ইব্রাহীমের ছেলে জহুর আলী (৬৫), জহুর আলীর ছেলে মোজাহিদ (২২) ও তার মেয়ে শাকিরুন (২৬), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর গ্রামের মফিজ উল­াহর ছেলে নুর মিয়া (৫০) ও বানিয়াচঙ্গের সাদেক মিয়া (৪০)।

২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর সকালে একই এলাকায় পাথর উত্তোলনকালে টিলা ধসে শম্পা দাস চম্পা (১৮) নামে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাফলংয়ে সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ি সংলগ্ন চুনা কোয়ারি এলাকায় মাটি চাপা পড়ে মারা যান দুই শ্রমিক।

তারা হচ্ছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল গ্রামের মদরিস আলীর ছেলে কামরুজ্জামান (২৮) ও একই এলাকার জিয়াদুর রহমানের ছেলে তাজউদ্দিন (৩০)।

১৬ মার্চ জাফলংয়ের পাথর কোয়ারিতে মাটি চাপা পড়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার টুকের বাজারের আকরাম (৪০) ও একই এলাকার লেছো মিয়া (২৫) মারা যান। ২৭ মার্চ জাফলং পাথর কোয়ারিতে দুর্ঘটনায় নাজিম উদ্দিন (২৫) ও মাটি চাপায় ওসমান নামে দুই শ্রমিক নিহত হন।

এ ছাড়া ওই দিন সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলায় বশিরের গর্তে পাথর উত্তোলনের সময় পাথর চাপায় এখলাছ মিয়া (৩৫) নামে এক চালক মারা যান। তিনি ছাতক উপজেলার জয়নাল মিয়ার ছেলে। এর আগে গত ১০ মার্চ সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলং জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন লন্ডনীবাজার নিপেন্দ্র দাসের কোয়ারিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে পাথর চাপায় অজ্ঞাত পরিচয় এক শ্রমিক নিহত হন।

জৈন্তাপুরের শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রাণ হারিয়েছেন দেলোয়ার হোসেন (২৬) নামে এক পাথর শ্রমিক। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের লালা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। শ্রীপুরের নাজিম উদ্দিনের অরক্ষিত গর্তের পাড় ধসে দেলোয়ার মারা যান।

২৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বান্দা গ্রামের মৃত আব্দুন ন‚রের ছেলে জহির হোসেন (৩৬), দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জীরদার গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আফাজ উদ্দিন ও একই গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে কাচা মিয়া (৬০)।

শাহ আরেফিন টিলায় বশির আহমদের গর্তে ওই দিন দুপুরে এ দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে কাচা মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দমকল বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা হয় অন্য দু’জনের লাশ।

এর আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে হাজির ডেগনা এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজদের মালিকানাধীন কোয়ারিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে প্রাণ হারান পাঁচ শ্রমিক। ওই দিন রাত ৯টায় জেনারেটর চালিয়ে পাথর তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে। রাতে রুহুল আমীন (২২) ও মতিবুর (৩২) নামের দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জের মুরাদপুরে। পরদিন সকালে উদ্ধার করা হয় আশিক আলী (৩০) ও আতাবুর রহমান (৩০) নামের দুইজনের লাশ। বিকেলে উদ্ধার করা হয় মঈনুদ্দিন (৩০) নামে আরেক শ্রমিকের লাশ। তিনি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের কলমশাহ গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে।

কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া কোয়ারিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পাথর চাপায় মারা যান ফরমান উল্লাহ (৫৫) নামে এক শ্রমিক। লোভাছড়ার হানই মিয়ার কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফরমান উল­াহ সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার খাইল্লা গ্রামের মৃত আমিন উল­াহর ছেলে। এর আগের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে পাথর তুলতে গিয়ে জালাল (২৪) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহত জালাল নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাড়িতাতিও গ্রামের আলী আকবর ছেলে।

৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জে পাথর উত্তোলনকালে গর্ত ধসে সিদ্দিক মিয়া নামে এক পাথর শ্রমিক গুরুতর আহত হন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিদ্দিক মিয়া মারা যান। তিনি ওই উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গুচ্ছগ্রামের মহরম আলীর ছেলে। সিদ্দিক মিয়ার মৃত্যুর দু’দিন আগে ১১ ফেব্রুয়ারি অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাছির মিয়া (৪২) নামে আরেক শ্রমিক। কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরফিনে ইন্তাজ মিয়ার গর্ত ধসে পাথর চাপায় তার মৃত্যু হয়। তিনি কোম্পানীগঞ্জের পুটামারা গ্রামের রুপা মিয়ার ছেলে। ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে মারা যান সোহেল আহমদ (২০) নামে আরেক শ্রমিক। গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি কুলুম ছড়ারপার গোচর এলাকার সজীব মিয়ার কোয়ারিতে সোহেল প্রাণ হারান। নিহত সোহেল হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ছোট সাকুয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।

২৮ জানুয়ারি বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারির গো-চারণ ভ‚মি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে পাড় ধসে মাটি চাপায় আলী ন‚র (২৫) নামে এক শ্রমিক নিহত হন। তিনি হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার গুণই গ্রামের আরিফ মিয়ার ছেলে। গত বছরের ২২ জানুয়ারি ফারুক মিয়া (৩০) নামে এক শ্রমিক শাহ আরেফিন টিলায় মাটি চাপায় মারা যান। ওই দিন ভোররাতে ওই টিলার আব্দুল হান্নান মিয়ার গর্তে পাথর উত্তোলন করে নিয়ে আসার সময় একটি ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ফারুক মিয়ার মৃত্যু হয়। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার দারগাখালি গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। এর দু’দিন আগে ২০ জানুয়ারি ওই টিলায় পাথর তোলার গর্ত ধসে সাদিক মিয়া (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তিনি স্থানীয় বাঘারপার গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে।

এরও আগে গত বছরের ১০ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জে মাটি চাপায় প্রাণ হারান স্বপন আহমদ (৩০)। ওই দিন দুপুরে উপজেলার কালাইরাগ এলাকায় আলী হোসেনের কোয়ারিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া জাফলংয়ে ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুইজন ও ৮ মার্চ আরো একজন শ্রমিক নিহত হন।

৭ নভেম্বর সকালে কানাইঘাটে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে চার মাদরাসা ছাত্রসহ ছয়জন নিহত হন।

উপজেলার লোভা নদীর তীরবর্তী মুলাগুল বাংলাটিলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কানাইঘাট উপজেলার চান্দালা বাংলাটিলা গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে জাকির (১৬), আলমাছ মিয়ার ছেলে নাহিদ (১৩) ও শাকিল (১২), মোছাব্বির মিয়ার ছেলে মারুফ (১৩), জন মিয়ার ছেলে আবদুল কাদির (১৩) ও একই গ্রামের সুন্দর আলী (৩৫)। নিহতদের মধ্যে পাঁচ কিশোর স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে ওই বছরের ২৩ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা ধসে পাঁচজন এবং একই টিলা ধসে এক ও ১১ ফেব্রুয়ারি দুইজন, ২ ও ৬ মার্চ, ২০ জুলাই এবং ২৬ অক্টোবর চারজন মারা যান। গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে পাথর উত্তোলনকালে ১০ ফেব্রুয়ারি মারা যান তিন শ্রমিক।

তারা হচ্ছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গুলেরগাঁও গ্রামের নজির আলীর ছেলে জাকির হোসেন (২০), ওয়াতির আলীর ছেলে তুলা মিয়া (২৫) এবং দিরাই উপজেলার পরিমল (২৫)। এ ছাড়া কানাইঘাটের লোভাছড়ায় পাথর উত্তোলনকালে মারা যান আরো এক শ্রমিক।

Share





Related News

Comments are Closed