Main Menu

ঈদের রাতে সিলেটে গার্মেন্টস কর্মী তরুণীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলি এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে গার্মেন্টস কর্মী এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিন রাতে কদমতলি এলাকার যমুনা মার্কেটের ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে রোববার দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই হোটেলের ম্যানেজার ও নাইট গার্ডকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন সুনামগঞ্জ সদরের লালপুর এলাকার আজাদ মিয়ার ছেলে ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার লুৎফর রহমান (৪৫) এবং ওসমানীনগর উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের লালউল্লাহর ছেলে ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলের নাইটগার্ড খিজির আহমদ (৩৫)।

গণধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী (৩০) তরুণীর বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ঈদের দিন শনিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে এক গার্মেন্টস কর্মী সিলেট কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। নিজ বাড়িতে ফেরার বাস না পেয়ে হোটেল খুঁজছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় রিফাত ওরফে মুরাদ (২৫) নামের এক যুবকের সঙ্গে। তিনি ভিকটিমকে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে কদমতলীর যমুনা মার্কেটের ২য় তলায় অবস্থিত ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। এই হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয় ভিকটিমকে। রাত ৩টার দিকে হোটেল ম্যানেজার লুৎফর রহমান (৪৫) কক্ষে এসে জোরপূর্বক দরজা খুলে তিনি সহ খিজির আহমদ (৩৫), রিফাত ওরফে মুরাদ (২৫) ও তানভীর (৩০) মোট ৪ জন মিলে ভিকটিমকে ভোর ৬টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার সকাল ১০টার দিকে হোটেল ম্যানেজার লুৎফর রহমান তাকে হোটেল থেকে বের করে দেন। পরে এক বাসস্টাফ ভিকটিমকে কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে র‍্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে গেলে র‍্যাব দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ভিকটিমকে হেফাজতে নিয়ে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।

ভিকটিমকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

কদমতলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুমন চক্রবর্তী জানান- সহজ-সরল ওই তরুণীকে কদমতলি এলাকায় একা পেয়ে তাকে ফুসলিয়ে ডায়মন্ড হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শনিবার রাতে তাকে হোটেলের ম্যানেজারসহ ৫ জন ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ম্যানেজার ও নাইট গার্ডকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।

এসএমপির মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ৯(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং-০২, তারিখ- ০৯/০৬/২০২৫)। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

Share





Related News

Comments are Closed