Main Menu

চট্রগ্রামে রিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

জানা যায়, চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। চলতি মাসে অন্তত তিন হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয়। এতে মরিয়া হয়ে ওঠেন চালকরা। বুধবার নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে চালকরা পিছু হটেন। তারা সড়ক ছেড়ে অলি-গলিতে অবস্থান নেন। সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারেন। পুলিশও তাদের ধাওয়া দিলে তারা গলির ভেতরে ঢুকে যান রিকশাচালকরা। এসময় ব্যস্ততম আরাকান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও উপস্থিত রয়েছে।

জানতে চাইলে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক আল কাদেরী জয় সমকালকে বলেন, ‘আজ আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কিন্তু কয়েকদিনের অভিযানে কয়েক হাজার ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। এটি তো শ্রমিকদের জীবিকা। তাই ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মরিয়া হয়ে রাস্তায় নেমেছেন। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এটার একটা সুরাহা হওয়া উচিত। নগরে অন্তত দেড় লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক আছে। কিন্তু এগুলো কোথায় চলতে পারবে, কীভাবে চলতে পারবে তার কোনো নীতিমালা নেই। পুলিশ যেখান থেকে পারছে, ধরে নিয়ে যাচ্ছে, চালকদের হয়রানি করছে। এটাতো হতে পারে না।’

এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘এখন কথা বলার পরিস্থিতি নেই। আমরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’

Share





Related News

Comments are Closed