Main Menu

প্রভাষক জুয়েল হত্যা মামলার তিন আসামীকে ৭ বছরের জেল

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মামুদপুর (কাকিয়াম) গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে ও জামালগঞ্জ সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আবু তৌহিদ জুয়েল (৪০)-কে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ আসামীকে ৭ বছরের জেল ও ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী সরকারি মদন মোহন কলেজ সিলেটের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমান সুয়েব এর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সরকারি পিপি মোঃ আবুল হোসেন, এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন, সিলেট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল।

হত্যা মামলা রায়ে বিপ্লব মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, হেলিম-কে ৭ বছরের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস সাজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়। অন্য ২ জন আসামি মামলা চলাকালীন মারা গেছেন। মামলায় মোট ১১ জন আসামী ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ০১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মামুদপুর (কাকিয়াম) গ্রামের নিজ বাড়ীর সিমানা নিয়ে নিহত প্রভাষক আবু তৌহিদ জুয়েল এর সাথে পার্শ্ববর্তী আব্দুল খালেক ও আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা কাটাকাটি নিয়ে এক পর্যায়ে আব্দুল খালেক, গাজী শামসুদ্দিন ও আব্দুর রাজ্জাক দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দল বল নিয়ে আবু তৌহিদ জুয়েলের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের হামলায় জুয়েল ঘটনাস্থলে অচেতন হয়ে পড়েন।

এ সময় স্থানীয়রা আবু তৌহিদ জুয়েলকে ধর্মপাশা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহত প্রভাষক আবু তৌহিদ জুয়েল এর বড় ভাই সরকারি মদন মোহন কলেজ সিলেটের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমান সুয়েব বাদী হয়ে ওইদিনই ধর্মপাশা থানায় ১১ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ ৭ বছর পর সোমবার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ১১ জন আসামীর মধ্যে মাত্র ৩ জনকে ৭ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। বাদী এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

Share





Related News

Comments are Closed